সৌরভের নিজের দিনগুলো মনে করা উচিত ছিল: কীর্তি আজাদ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং গ্রেগ চ্যাপেল বিতর্ক নিয়ে যখন ভারতীয় ক্রিকেটে তুমুল বাকবিতণ্ডা চলছে, প্রাক্তন অলরাউন্ডার কীর্তি তখন ছিলেন ভারতের জাতীয় নির্বাচক। চ্যাপেল বিতর্কে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভের। বিরাট ইস্যুতে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে তাঁর পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন কীর্তি।
মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন্সি বিতর্ক থেমেও থামছে না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন একের পর এক প্রাক্তন। এ বার আসরে কীর্তি আজাদ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং গ্রেগ চ্যাপেল বিতর্ক নিয়ে যখন ভারতীয় ক্রিকেটে তুমুল বাকবিতণ্ডা চলছে, প্রাক্তন অলরাউন্ডার কীর্তি (Kirti Azad) তখন ছিলেন ভারতের জাতীয় নির্বাচক। চ্যাপেল বিতর্কে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভের। বিরাট ইস্যুতে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে তাঁর পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন কীর্তি।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের কথায়, ‘আমার মনে আছে, কিভাবে বিষেণ সিং বেদীর ক্যাপ্টেন্সি গিয়েছিল। কিভাবে সরানো হয়েছিল সুনীল গাভাসকরকে। ভেঙ্কট রাঘবন যখন ফ্লাইটে ছিল, তখনই ওর ক্যাপ্টেন্সি চলে যায়। সৌরভ অন্তত নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারত।’
চ্যাপেল ইস্যুতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। যাঁকে ভারতীয় টিমের কোচ করেছিলেন সৌরভ, সেই চ্যাপেলই তাঁকে টিম থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কীর্তি বলছেন, ‘চ্যাপেল বিতরকের সময় যখন ভারতীয় টিম থেকে ক্যাপ্টেন হিসেবে বাদ দেওয়া হয়েছিল সৌরভকে, তখন আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। নিজে ওই রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সৌরভ গিয়েছে বলেই ওর উচিত ছিল বিরাটের সঙ্গে অনেক আগেই কথা বলা। আমি এটা বলছি না যে, বিরাট স্পেশাল কেস।এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, ও স্পেশাল ব্যাটার এবং স্পেশাল ক্রিকেটার। বিরাট কিন্তু অন্যদের কাছে উদাহরণ তৈরি করে রেখেছে।’
ক্যাপ্টেন্সি বিতর্ক নিয়ে নাটকের পর নাটক হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ বলেছিলেন, বিরাট টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি। বিরাট আবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে প্রেস মিটে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, বোর্ডের তরফে তাঁকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়নি। এমনকি তিনি যে ওয়ানডে ক্যাপ্টেন নন, তা জানতে পেরেছিলেন টেস্ট টিম ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে। কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের আগে বোর্ডকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাননি। বিরাট ইস্যুতে তাই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের। বিরাটের মন্তব্যের পাল্টা আর সৌরভ কিছু না বললেও, তাঁর মুখ খোলা যে বোর্ডের কর্তারা ভালো ভাবে নেননি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
কীর্তি কিন্তু বলছেন, ‘এই ব্যাপারটা অন্যভাবে সমাধান করতে পারত বোর্ড। বিরাট ইস্যুতে পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল। বিশেষ করে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন ভারতীয় টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন, তখন দায় কিছুটা বর্তায় তো বটেই। সেইসঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে, ভারতেরই আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার টুইট করে গুঞ্জন উস্কে দিয়েছিলেন যে, বিরাট-রোহিত সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এই ধরনের বিতর্ক জনসমক্ষে আসা উচিত ছিল না। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন হিসেবে যার অবদান অনেক। ও যে আর ক্যাপ্টেন নেই, সেটা বিরাট কোহলিকে অনেক আগেই জানানো উচিত ছিল।’