India vs South Africa: প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না ভারত
নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমে লজ্জার হার প্রাপ্তি ভারতের। টেস্টের পর ওয়ান ডে সিরিজেও ভরাডুবি। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৭ (৪৯.৫ ওভার)
ভারত ২৮৩ (৪৯.২)
৪ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
কেপ টাউন: শেষরক্ষা হল না। নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমে লজ্জার হার প্রাপ্তি ভারতের (India)। টেস্টের পর ওয়ান ডে সিরিজেও ভরাডুবি টিম ইন্ডিয়ার। ৩-০ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হল কেএল রাহুলের ভারতকে। শেষবেলায় মনে হচ্ছিল টিম ইন্ডিয়া সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে দেশে ফিরবে। কিন্তু তা আর হতে দিলেন কোথায় এনগিডিরা। শেষ বেলায় দীপক চাহারের লড়াই কাজে এল না। ৪ রানে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নিল বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা।
? RESULT | #PROTEAS WON BY 4 RUNS
An absolute nail-biter to end a fantastic #BetwayODISeries and tour?
Thank you @BCCI for an amazing series during a chaotic time? we looking forward to seeing you again soon? #SAvIND #BePartOfIt pic.twitter.com/4QK5uMWTDH
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) January 23, 2022
আজ কেপ টাউনে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লোকেশ রাহুলের ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতের টার্গেট ছিল ২৮৮। টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং জুটি জয়ের ভিত গড়তে না পারলেও, সেই বিরাট-ধাওয়ান জুটিতে জয়ের পথে এগোতে থাকে ভারত। আজ ছন্দে ছিলেন ধাওয়ান। বিরাট-শিখরের ৯৮ রানের পার্টনারশিপটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল টিম ইন্ডিয়ার কাছে। কিন্তু ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধাওয়ান। পন্থ বাজে শট খেলে আজও উইকেট দিয়ে যান। এর পর শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কোহলি। তবে ৬৫ রানের মাথায় কোহলির উইকেটও হারায় ভারত। এরপর শ্রেয়স-সূর্যকুমার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকেন এনগিডি-প্রিটোরিয়াসরা। ম্যাচের শেষের দিকে দীপক চাহার যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ভারতের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছিল। কিন্তু চাপের মুখে থাকা দলকে উদ্ধার করতে গিয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেও, উইকেট দিয়ে বসেন তিনি। এর পর ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আর প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ২টো উইকেট। ব্যাস চাপের মুখে থাকা ভারত ৪ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায়।
টসে জিতে শুরুতে বাভুমাদের ব্যাট করতে পাঠান রাহুল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে প্রথম একাদশে ভারত পরিবর্তন করবে এমনটা আগে থেকেই বলা হচ্ছিল। এবং সত্যিই চারটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল ভারত। ভেঙ্কটেশ-অশ্বিন-শার্দূল-ভুবনেশ্বর জায়গায় সূর্যকুমার, দীপক চাহার, জয়ন্ত যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণাকে প্রথম একাদশে নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুলরা। সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান দীপক-কৃষ্ণা। আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল আউট করেই থামে ভারত। ম্যাচের শুরুতেই প্রোটিয়া ওপেনার জানেমন মালানকে ফেরান দীপক। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটিকে ম্যাচের ভিত গড়তে দেননি চাহাররা। ডি’কক-বাভুমা জুটিতে ২৬ রান তোলার পর দ্বিতীয় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। মার্করামের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যখন শুরু করলেন ডি’কক, ফের ঝটকা দিলেন দীপক। ১৫ রানের মাথায় আউট হন মার্করাম। কিন্তু এর পর রাসি ভ্যান দার ডুসেনের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডি’কক। শুরুর ১৫ ওভারের মধ্যে ৩-৭৯ রান থেকে দলকে টেনে তোলেন ডুসেন-ডি’কক।
৩৫ ওভার অবধি আর উইকেটের দেখা মেলেনি বুমরা-কৃষ্ণাদের। ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ডি’কক-ডুসেন। অবশেষে বুমরার বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটার। ১২৪ রানের দুরন্ত ইনিংস ডি’কক সাজিয়েছিলেন ১২টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে। প্রোটিয়া জার্সিতে এ দিন ডি’কক ছাপিয়ে গেলেন জ্যাক কালিসকে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটারদের তালিকা চার নম্বরে পৌঁছে গেলেন ডি’কক। ১২৭তম ইনিংসে কেরিয়ারের ১৭তম ওয়ান ডে শতরান পেলেন ডি’কক। এই তালিকায় তাঁর আগে রয়েছেন যথাক্রমে, হাশিম আমলা (২৭টি শতরান, ১৭৮ ইনিংসে), এবি ডেভিলিয়ার্স (২৫টি শতরান, ২১৩ ইনিংসে), হার্শেল গিবস (২১টি শতরান, ২৪০ ইনিংসে)। এই তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছেন জ্যাক কালিস (১৭টি শতরান, ৩০৯ ইনিংসে)।
ভালো ছন্দে ছিলেন ডুসেন। হাফসেঞ্চুরির পর চাহারের শিকার হন তিনি। এর পর ডেভিড মিলার জুটি গড়েন ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে। তবে এই জুটিকে বেশি ভয়ঙ্কর হতে দেননি প্রসিধ কৃষ্ণা। দুজনকেই ফেরান এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া কৃষ্ণা। শেষের দিকে কেশব মহারাজকে ফেরান বুমরা এবং শেষ উইকেটটি তুলে নেন কৃষ্ণা। শেষ অবধি ২৮৭ রানে থামে প্রোটিয়ারা। কিন্তু, ফের এক বার প্রোটিয়া বোলিং বিভাগ ম্যাচ বের করে আনল। এবং ২-১ টেস্টের পর ৩-০ ওয়ান ডে ট্রফি দেশেই রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৭ (ডি’কক ১২৪, মার্করাম ৫২, কৃষ্ণা ৫৯-৩) ভারত ২৮৩ (বিরাট ৬৫, শিখর ৬১, এনগিডি ৫৮-৩)