Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PK Banerjee: পিকের জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে অভিনব উদ্যোগ ফেডারেশনের

AIFF Grassroots Day : ২৩ জুন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এ বার থেকে প্রত্যেক বছর ওই দিন 'এআইএফএফ গ্রাসরুট ডে' হিসেবে পালন করবে ফেডারেশন। তৃণমূলস্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর জন্মদিনকে এ ভাবেই স্মরণীয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন।

PK Banerjee: পিকের জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে অভিনব উদ্যোগ ফেডারেশনের
PK Banerjee: পিকের জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে অভিনব উদ্যোগ ফেডারেশনেরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2023 | 3:12 PM

কলকাতা: পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের (PK Banerjee) জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব উদ্যোগ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF)। ৩ বছর আগে কোভিডকালে ২০ মার্চ প্রয়াত হয়েছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরলোক গমন করলেও, এখনও তাঁর স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে ময়দানে। গুরুকে ভুলতে পারেননি তাঁর ছাত্ররা। ২৩ জুন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এ বার থেকে প্রত্যেক বছর ওই দিন ‘এআইএফএফ গ্রাসরুট ডে’ হিসেবে পালন করবে ফেডারেশন। তৃণমূলস্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর জন্মদিনকে এ ভাবেই স্মরণীয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল ফেডারেশন। শুক্রবারই সরকারী ভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিল এআইএফএফ। ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মতো বড় টিমে না খেললেও ময়দানে তিনি ছিলেন তারকা। ইস্টার্ন রেলের জার্সিতে জিতেছিলেন কলকাতা লিগও। প্রবাদপ্রতিম সেই ফুটবলার কোচিং জীবনেও রেখে গিয়েছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports – এ।

ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘প্রদীপদার জন্য যাই বলব, তাই-ই কম মনে হবে। ভারতীয় ফুটবলের সবকিছু তিনি। একজন মহান ফুটবলার, দুর্দান্ত মেন্টর ও মহান কোচ। ফুটবলের প্রতি ওঁর প্যাশন ভারতীয় ফুটবলে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। সর্বদা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি চেয়েছেন। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বার থেকে ওই দিনটি গ্রাসরুট ডে হিসাবে পালিত হবে। এটি আমাদের তরফ থেকে ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা।’

ফেডারেশন সচিব সাজি প্রভাকরণ বলেন, ‘প্রদীপদা ভালো তো বটেই অত্যন্ত সফল শিক্ষকও ছিলেন। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ৩০ বছর কোচিং করান। একগুচ্ছ ফুটবলারকে তিনি ভারতীয় ফুটবলে উপহার দিয়েছেন। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলেও সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করিয়েছেন। ওঁর অবদান কখনও ভোলার নয়। তৃণমূলস্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কোচিংয়ে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে একগুচ্ছ ফুটবলার উঠে এসেছিল। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা।’

১৯৬৯ সালে জাপানে গিয়ে জার্মান কোচ ডেটমার ক্রেমারের কাছে কোচিং ক্লাস শিখে ভারতে ফিরেছিলেন। সেখানে ফার্স্ট ক্লাস কোচিং ডিগ্রি পেয়েছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেডারেশনের ভিশন ২০৪৭ রোডম্যাপে গ্রাসরুট ডেভলেপমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট। দেশের সমগ্র জায়গা থেকে ফুটবলার তুলে আনতে চাইছে ফেডারেশন। ২০২৬ সালের মধ্যে ৩৫ মিলিয়ন বাচ্চাকে ফুটবলের সঙ্গে জুড়ে ফেলার ভাবনা রয়েছে এআইএফএফের। লক্ষ্য, ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ বাচ্চা ফুটবলের প্রতি আরও আগ্রহী হোক। যারা ভারতীয় ফুটবল টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আগামী দিনে।