Viral Video: সন্তানের ক্ষতস্থানে পোকামাকড় ছড়িয়ে দিল মা শিম্পাঞ্জি, ওটাই ওষুধ, দাবি গবেষকদের
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, মা শিম্পাঞ্জি তার সন্তানের পায়ের ক্ষতস্থানে পোকামাকড় প্রয়োগ করছে। ওজ়ুগা শিম্পাঞ্জি প্রকল্পের গবেষকরা সর্বপ্রথম এই বিষয়টি নজরে আনেন।
শরীরে আঘাত পেলে ফার্স্টএডের জন্য আমরা অন্তত এক ব্যান্ডেজ, তুলো এবং সেই ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার জন্য যে কোনও একটি অ্যান্টিসেপ্টিকের খোঁজ করে থাকি। কিন্তু জানেন কি, আঘাত পাওয়ার পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শিম্পাঞ্জিরা (Chimpanzee) কী করে? সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ঘোরাফেরা করছে। সেখানে দেখা গিয়েছে,সন্তানের শরীরে ক্ষত চিকিৎসা করতে উদ্ভট উপায় বেছে নিয়েছে একটি মা শিম্পাঞ্জি। আর তা হল পোকামাকড় (Insects)। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, মা শিম্পাঞ্জি তার সন্তানের পায়ের ক্ষতস্থানে পোকামাকড় প্রয়োগ করছে। ওজ়ুগা শিম্পাঞ্জি প্রকল্পের (Ozouga Chimpanzee Project) গবেষকরা সর্বপ্রথম এই বিষয়টি নজরে আনেন।
সংবাদমাধ্যম ডেলিমেল-এর তরফ থেকে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রাপ্তবয়স্ক শিম্পাঞ্জিটির নাম সুজ়ি। তাকে দেখা গিয়েছে সন্তানের ক্ষতস্থানটিকে খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করতে। গবেষকরা এটিকে সিয়া বলে উল্লেখ করেছেন। ওই সুজ়ি নামের মা শিম্পাঞ্জিটি পোকাগুলি ধরেই কিছু ক্ষণ মুখের মধ্যে রেখে দেয়। আর তারপরই সেগুলিকে সন্তানের ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়।
তবে এই পোকামাকড়গুলি যে আসলে কী, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেননি গবেষকরা। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন যে, ক্ষতস্থান পরিষ্কার বা ব্যথার উপশমে সাহায্য করে কিটগুলি। ওই গবেষকদলের একজন সংবাদমাধ্যম ডেলিমেল-এর কাছে বলেছেন, “ভিডিয়োতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, সুজ়ি প্রথমে তার ছেলের পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে এবং তারপরে সে যেন ভাবছে, এই ক্ষতে মলম দিতে কী করা যেতে পারে!”
তিনি আরও যোগ করে বললেন, “তার পরে সে উপরের দিকে তাকায়, পোকামাকড় দেখতে পায় এবং সেগুলি তার সন্তানের জন্য ধরে ফেলে। আমার জন্য এটি দেখা খুবই শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিস্থিতি। কারণ, অনেক মানুষই অন্যান্য প্রাণীর সামাজিক দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ করে। ঘটনাচক্রে আমরাই এমন একটা প্রজাতি, যেখানে এক ব্যক্তি অন্যদের প্রতিও যথেষ্ট যত্নশীল।”
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইভোল্যুশনারি অ্যানথ্রোপলজি এবং ওজ়ুগা শিম্পাঞ্জি প্রকল্প উভয়ের বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী আলেসান্দ্রা মাসকারো এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।