Forest Department: ‘বিটবাবু পয়সা নেন, গাড়ি ছাড়েন’, জঙ্গল কেটে সাফ, আবার প্রশ্নের মুখে বালুর বন দফতর
Forest of Bankura: কাঠ পাচারের কারবারে প্রত্যক্ষভাবে বন দফতরের একাংশের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সরাসরি অভিযোগ স্থানীয় 'বিটবাবু'-র (বিট অফিসার) দিকে। তাঁদের অভিযোগ, 'প্রত্যেকবার গাড়ি ধরা হয় আর বিটবাবু পয়সা নিয়ে ছেড়ে দেন।' এবার তাই ওই বিট অফিসারের বদলির দাবি তুলছেন এলাকাবাসীরা।
বাঁকুড়া: বনমন্ত্রী জেলে। আর এসবের মধ্যেই জঙ্গল কেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ায়। অভিযোগ তেমনই। বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর বিটে বেশ কয়েকটি ইউক্যালিপটাস ও সোনাঝুরির জঙ্গল রয়েছে। সেই জঙ্গলগুলিই আজকাল চোরাই কাঠের কালো-কারবারিদের অবাধ চারণভূমি হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলছেন গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয়, এই কাঠ পাচারের কারবারে প্রত্যক্ষভাবে বন দফতরের একাংশের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সরাসরি অভিযোগ স্থানীয় ‘বিটবাবু’-র (বিট অফিসার) দিকে। তাঁদের অভিযোগ, ‘প্রত্যেকবার গাড়ি ধরা হয় আর বিটবাবু পয়সা নিয়ে ছেড়ে দেন।’ এবার তাই ওই বিট অফিসারের বদলির দাবি তুলছেন এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গত, আজই নথিবিহীন গাছ বোঝাই দু’টি ট্রাক্টর আটক করেছে বন দফতর। কাঞ্চনপুর এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ওই ট্রাক্টর দু’টিকে আটক করা হয়। আর এরপরই কার্যত বন দফতরের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ‘পুরো জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছে। পয়সা নিয়ে গাছ পাচার হয়ে যাচ্ছে। যত গাড়ি আসছে, ধরছে, ছাড়ছে। এর আগেও আট-দশ বার হয়েছে। গাড়ি আসে, টাকা নেয়, ছেড়ে দেয়।’ এই এলাকার জঙ্গল সাফ হওয়ার পিছনে এলাকার ‘বিটবাবুর’ মদত রয়েছে অভিযোগ তাঁদের। বলছেন, ‘বিটবাবুর মদত আছে। বিটবাবু পয়সা নেন, তারপর ছাড়েন।’
বন দফতরের মদতে গাছ পাচারের যে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দারা তুলছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কাঞ্চনপুরের বিট অফিসার সঞ্জয় বিশ্বাসের সঙ্গেও। তিনি অবশ্য এই জাতীয় কোনও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য়, ‘কয়েকটি অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে এলাকায়। যদি আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।’ এর বেশি আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিট অফিসার।