Bankura: ঘন ঘন বিস্ফোরণ, অভিঘাতে ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে! কী ঘটছে জঙ্গলমহল পার্শ্ববর্তী এলাকায়?

Bankura: বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে বিস্ফোরণের সময় গ্রামের দিকে উড়ে আসে কয়লা ও পাথরের চাঁই। এখন তাই কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের আগে সাইরেন বাজলেই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মানুষ ছুটে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান ফাঁকা জায়গায়।

Bankura: ঘন ঘন বিস্ফোরণ, অভিঘাতে ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে! কী ঘটছে জঙ্গলমহল পার্শ্ববর্তী এলাকায়?
বাড়িতে ধরছে ফাটল Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2024 | 2:51 PM

বাঁকুড়া: গ্রামের পাশেই তৈরি হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের খোলা মুখ খনি। সেই খনিতে কয়লার চাঁই ভাঙতে রাতে দিনে ঘটানো হচ্ছে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে গ্রামের দেওয়ালে তৈরি হয়েছে বড়বড় ফাটল। বিস্ফোরণে গ্রামে উড়ে আসছে পাথর ও কয়লার চাঁই। পুনর্বাসনের দাবি জানাতে গেলেই গ্রামবাসীদের উপরি পাওনা হিসাবে মিলছে মামলা। প্রাণ হাতে নিয়ে অসহায়ভাবে মাসের পর মাস কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।

বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় খোলামুখ কয়লাখনি খননের কাজ। ধীরে ধীরে সেই খনি এগিয়ে আসতে আসতে এখন একেবারে গ্রামের প্রান্তে এসে ঠেকেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশান লিমিটেডের পরিচালিত এই খনিতে কয়লার চাঙড় ভাঙতে প্রায়শই ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। আর সেই বিস্ফোরণে কার্যত দিশেহারা অবস্থা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির দেওয়ালে তৈরি হয়েছে বড়বড় ফাটল।

বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে বিস্ফোরণের সময় গ্রামের দিকে উড়ে আসে কয়লা ও পাথরের চাঁই। এখন তাই কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের আগে সাইরেন বাজলেই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মানুষ ছুটে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান ফাঁকা জায়গায়। গ্রামবাসীরা বারেবারে বিস্ফোরণের তীব্রতা কমানোর আবেদন জানিয়েছেন খনি কর্তৃপক্ষের কাছে। আবেদন জানিয়েছেন পুনর্বাসনেরও।

কিন্তু প্রতিটি আন্দোলনের পরেই গ্রামবাসীদের বাড়তি পাওনা হিসাবে মিলেছে পুলিশের মামলা আর হুমকি। গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রাম লাগোয়া এলাকায় কয়লাখনি হওয়ায় গ্রামের একটি মানুষেরও কাজ মেলেনি। বরং এলাকার জমিতে কয়লাখনি তৈরি হওয়ায় ক্ষেতমজুর হিসাবে অন্যের জমিতে কাজ করার সুযোগও হারিয়েছেন গ্রামবাসীরা । একদিকে কর্মহীনতা আর বিস্ফোরণে অতিষ্ট জীবন অন্যদিকে পুলিশের একের পর এক মামলায় একরাশ অসহায়তা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মানুষের।

বিজেপির দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিষয়টি যাচাই করার জন্য পরিবেশ দফতরকে জানানো হবে। তৃণমূলের গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি, ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে বিস্ফোরণের তীব্রতা কিছুটা কমানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের এই সমস্যার কথা জানা নেই বলে দায় সেরেছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।