চুক্তিপত্রে সই করে আর্থিক লেনদেন? বাঁকুড়া শিশুপাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডির হাতে

Bankura: পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার, অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের বাড়িতে তল্লাশি করে ওই চুক্তিপুত্র পাওয়া যায়। আদালতের স্ট্যাম্প পেপার-সহ এই চুক্তিপত্র লেখা হয়েছিল।

চুক্তিপত্রে সই করে আর্থিক লেনদেন? বাঁকুড়া শিশুপাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডির হাতে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 5:20 PM

বাঁকুড়া: শিশু পাচাকাণ্ডে চাঞ্চল্য়কর তথ্য় সিআইডির হাতে। শনিবার, বাঁকুড়া শিশুপাচার-কাণ্ডের (Child Trafficking) মূল অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গোপ ন চুক্তিপত্র। জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া সহ তিন প্রধান অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দু’পক্ষের মধ্যে শিশু লেনদেন সংক্রান্ত চুক্তিপত্রর কথা জানতে পারেন সিআইডির তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার, অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের বাড়িতে তল্লাশি করে ওই চুক্তিপুত্র পাওয়া যায়। আদালতের স্ট্যাম্প পেপার-সহ এই চুক্তিপত্র লেখা হয়েছিল। তবে চুক্তিপত্রে কী লেখা রয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ এখনই বলতে রাজি নন সিআইডি কর্তারা। তদন্তের স্বার্থেই এই গোপনীয়তা বলে জানিয়েছেন এক সিআইডি অধিকর্তা। তবে, অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবির দাবি, ওই চুক্তিপত্রে তদন্তকারীরা দুপক্ষের মধ্যে কোনও আর্থিক লেনদেনের তথ্য খুঁজে পাননি।

পাশাপাশি, ওই আইনজীবি আরও দাবি, পাঁচ শিশুর মা রিয়া বাদ্যকর পাঁচ সন্তানকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারছিলেন না। সে কারনেই তিনি এক শিশু সন্তানকে বাঁকুড়া জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের নিঃসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মা ও তাঁর স্বামী সতীশ ঠাকুরের কাছে রেখে এসেছিলেন। এখানে কোনো বে আইনী লেনদেন বা আর্থিক কোনো লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। এই কান্ডে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশু অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া বাদ্যকরেরই সন্তান তা প্রমাণের জন্য অবিলম্বে ডিএনএ পরীক্ষার দাবিও করা  হয়েছে।  অন্য়দিকে, সিআইডি হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির করা হয় অভিযুক্তদের। আদালত ওই চারজনকে ২ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে  শিশু পাচারের (Child Trafficking) অভিযোগে ওই স্কুলের অধ্য়ক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া, স্কুল শিক্ষিকা সুষমা শর্মা-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, স্কুল চালানোর নামে শিশু পাচার চক্র চালাতেন তাঁরা। টিভি নাইনের খবরের জেরে পাচারকাণ্ডের তদন্ত করতে নামে সিআইডি। ধীরে ধীরে সামনে আসে অন্যান্য তথ্যও। উঠে আসে নিষিদ্ধ পল্লি যোগের অনুষঙ্গও।  আরও পড়ুন:  বাঁকুড়ার শিশু পাচারকাণ্ডে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে নিষিদ্ধ পল্লি যোগ! ধরা পড়েছে এক দালাল, মুখ খুলল দুর্বার সমিতি