Bankura Hospital: নোংরা জলের উপর দিয়েই যেতে হচ্ছে, অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতিতে নরক যন্ত্রণায় রোগীরা
Bankura: এ দিকে, ঠিকা সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতিতে লাটে উঠেছে সপাতালের পরিষেবা। যন্ত্রণায় পড়েছেন রোগী ও রোগীর পরিজনরা।
বাঁকুড়া: এমনিতেই কাজের পরিধির তুলনায় বেতন কম। তার উপর আবার চলতি মাসে কাটা হয়েছে ১ হজার ২০০ টাকার মতো বেতন। চলবে কী করে ওঁদের? প্রতিবাদে কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মরত ১১০ জন অস্থায়ী কর্মী। এ দিকে, ঠিকা সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতিতে লাটে উঠেছে সপাতালের পরিষেবা। যন্ত্রণায় পড়েছেন রোগী ও রোগীর পরিজনরা।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, সাফাই কর্মী সহ বিভিন্ন পদে কাজ করেন বরাত পাওয়া একটি ঠিকা সংস্থার কর্মীরা। সবমিলিয়ে ওই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ওই ঠিকা সংস্থার ১১০ জন কর্মী। ওই ঠিকা সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ তাঁদের যে পরিমাণ কাজ করতে হয় সে তুলনায় তাঁদের বেতন যথেষ্ট কম। এরমধ্যে চলতি মাসে বেতন থেকে মাথাপিছু কেটে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে ওই সংস্থাকে একাধিকবার কর্মবিরতির হুঁমকি দিয়েছে দেয় ওই হাসপাতালে কর্মরত ঠিকা শ্রমিকরা। তারপরও বরাত পাওয়া সংস্থা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসায় শনিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঠিকা কর্মীরা। এ দিকে, ঠিকা সংস্থার কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করায় আজ সকাল থেকে হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেছে সাফাই কাজ। ফলে হাসপাতালের শৌচালয় হয়ে পড়েছে ব্যবহারের অযোগ্য। শৌচালয় থেকে নোংরা জল হাসপাতালে লবি পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে ওয়ার্ডের মধ্যে। নোংরা জলের উপর দিয়েই রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিজনরা।
ঠিকা সংস্থায় কর্মরত অস্থায়ী ওয়ার্ড বয়রাও কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ায় প্রভাব পড়ছে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবাতেও। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে হাসপাতালের রোগী ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে। ঠিকা সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা চালু রেখেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। বরাত পাওয়া সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন জরুরি পরিষেবা চালু থাকায় সমস্যা হচ্ছে না। ব্যাঙ্কিংয়ের কারণে বেতন সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছে। দ্রুত তা মেটানোর চেষ্টা চলছে। এ দিকে, অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালের পরিষেবায় প্রভাব পড়ার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের আশ্বাস দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।