SBSTC Bus Service: আজও গড়াল না SBSTC-র চাকা, আশ্বাসের পর এবার হুঁশিয়ারিও দিলেন পরিবহণমন্ত্রী

SBSTC Bus Service: বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক,  বললেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

SBSTC Bus Service: আজও গড়াল না SBSTC-র চাকা, আশ্বাসের পর এবার হুঁশিয়ারিও দিলেন পরিবহণমন্ত্রী
আজও ব্যাহত এসবিএসটিসি পরিষেবা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 12:51 PM

বাঁকুড়া: মন্ত্রীর আশ্বাসই সার। ২৬ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও নিজেদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা। এর জেরে গত পাঁচ দিন ধরে চলা অচলাবস্থা এদিনও অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের জেরে পুজোর মুখে সরকারি বাস চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা। হাতে গোনা কয়েকটি বাস চলছে। আর পুজোর আগে শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

কর্মবিরতির সূত্রপাত

গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। কাজের স্থায়ীকরণ-সহ এক গুচ্ছ দাবিতে কর্মবিরতি পালন করা শুরু করেন এসবিএসটিসি-র অস্থায়ী কর্মীরা। রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রত্যেকটি বাস ডিপোতেই একই ছবি ধরা পড়ে। এসবিএসটিসি-র চাকা থমকে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে বিষয়টি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় খোদ পরিবহণ মন্ত্রীকে বিষয়টি দেখে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপরই পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিন।

পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস

২৬ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের একটা দাবি ছিল। আমি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি। ২৬ দিনের কাজ ওদের দেওয়া হবে। আমি পুজো মিটলেই কথা বলব ওদের সঙ্গে। ” কিন্তু তাঁর আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও টলেনি অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন।

আজও থমকে বাসের চাকা

মঙ্গলবারও রাজ্যের একাধিক বাস ডিপোয় থকমে এসবিএসটিসি-র চাকা। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো থেকে দূরপাল্লা ও ছোট রুটগুলিতে সবমিলিয়ে দৈনিক বাস চলাচল করে প্রায় ৪০ টি। এর মধ্যে কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ দূরপাল্লার যাত্রীরা পুরোপুরি নির্ভরশীল সরকারি বাসের উপর।

ব্যাহত পরিষেবা

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সাত দফা দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাঁকুড়া ডিপোর অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করলে সেই বাস পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। স্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কোনওরকমে সারাদিনে দু’একটি সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ গত পাঁচ দিন।

ভোগান্তিতে যাত্রীরা

চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পুজোর মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে দূরপাল্লার যাত্রীদের বেছে নিতে হচ্ছে বিকল্প বেসরকারি বাস। বহু ক্ষেত্রে যাত্রাপথ ভেঙে ভেঙে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বহু যাত্রীরা। ফলে সময়,অর্থ ও শ্রম তিনটিই অনেক বেশি নষ্ট হচ্ছে। নাকাল হচ্ছেন সাধারণ ও নিত্য যাত্রীরা। সেক্ষেত্রে এই আন্দোলনের জেরে আর কতদিন জেলার মানুষকে এই দুর্ভোগ পোয়াতে হবে, তা নিয়েই বড় প্রশ্ন উঠছে।

পরিবহণ মন্ত্রীর আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক,  বললেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমি ২৬ দিনের কাজের আশ্বাস দিয়েছিলাম। এটাও বলেছিলাম, পুজোর পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। কিন্তু তারপরও ওঁরা পরিষেবা স্বাভাবিক করলেন না। সাধারণ মানুষের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোও যদি ওঁরা বন্ধ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।”

‘দলের কেউ নন’

অন্যদিকে,  তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বন্ধের নীতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল। যা এটা করছেন, তাঁরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের কেউ নন। “