Visva-Bharati University:TV9 বাংলা খবরের জের, এমএড-এ নম্বর বিভ্রাটে তদন্ত কমিটি গঠন বিশ্বভারতীর
Birbhum: সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিনয় ভবনের এমএড কোর্সে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় যে ত্রুটিগুলি হয়েছে, নম্বর গরমিলের পেছনের কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
শান্তিনিকেতন: এমএডএর বিতর্কিত মেধা তালিকা প্রকাশ ঘিরে তদন্তের কমিটি গঠনের পথে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার তিনদিন পর অবশেষে ভুল মেধা তালিকা প্রকাশ নিয়ে মুখ খুলল বিশ্ববিদ্যালয়। আজ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে,বিশ্বভারতী জনসংযোগ আধিকারিক সাংবাদিকদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাঠায়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিনয় ভবনের এমএড কোর্সে ভর্তির জন্য মেধা তালিকায় যে ত্রুটিগুলি হয়েছে, নম্বর গরমিলের পেছনের কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি যা হয়েছে তা সম্পুর্ণটাই ঠিক করতে বিশ্ববিদ্যালয় দায়বদ্ধ। সেই কারণে ভর্তির প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করার জন্য যথাযাথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,সোমবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েব সাইটে এমএড এর ফল প্রকাশ পায়। সেই রেজ়াল্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পড়ুয়াদের। বিভ্রান্তিতে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। ১০০ মধ্যে কেউ পেয়েছে ২০০, কেউবা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। কর্তৃপক্ষের এই চরম গাফিলতি দেখে হতবাক সকলেই। কীভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া যায়নি।
ভুল মেধা তালিকা প্রকাশের খবর প্রথম প্রকাশ করে TV9 বাংলা। আর সেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে। খবর সম্প্রচারের পরই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মেধা তালিকার লিস্ট। এরপর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দ্রুত সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু গতকালের ভুল প্রকাশনা, পরে আবার সেটার প্রত্যাহার নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও কথা বলতে নারাজ।
এই ঘটনার বিষয়ে বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানান, “সম্পূর্ণটাই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। বিশ্বভারতীতে যে কোনও বিভাগে ভর্তির আবেদন পত্র পূরণ করতে হলে বিগত পরীক্ষাগুলিতে প্রাপ্ত নম্বর আবেদনকারীকেই প্রদান করতে হয়। সেক্ষেত্রে দুটি শূণ্যস্থান থাকে, একটিতে পূর্ণমান এবং অন্যটিতে প্রাপ্তমান দিতে হয়। এখন কোনও পড়ুয়া যদি পূর্ণমানের থেকে প্রাপ্তমান বেশি দিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে শতাংশের ভিত্তিতে তা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু যেহেতু পড়ুয়াদের প্রদত্ত নম্বর বিশ্বভারতীর পক্ষে এডিট করা সম্ভব নয়, তাই প্রকাশিত মেধা তালিকাতেও সেই মানই প্রতিফলিত হয়।” যদিও এই ধরনের অবাস্তব মানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন এক আধিকারিক। প্রয়োজনে এই ধরনের নম্বরের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
জানা গিয়েছে, বিনয় ভবনে এম এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনে পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আভ্যন্তরীণ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষা দেন। এরমধ্যে ২৫ টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগতদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।