Viswa Bharati: দুয়ারে পরীক্ষা, খোলেনি গেট! হাইকোর্টের নির্দেশ ‘অমান্য’ বিশ্বভারতীর
Viswa Bharati: মঙ্গলবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা স্পষ্ট করে বলে দেন, পরীক্ষা যেন সঠিকভাবে ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে।
বীরভূম: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও জট কাটল না বিশ্বভারতীর। অচলাবস্থা এখনও জারি। বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্বভারতীর প্রধান কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। আদালতের নির্দেশ অমান্যর অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই হাইকোর্ট বিশ্বভারতীকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে বিশ্বভারতী হোস্টেল খুলতে হবে। আগামী ১১ মার্চ বিশ্বভারতীতে সেমিস্টার। তার আগে পড়ুয়ারা যাতে হস্টেলে ফিরতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কড়া ভাবে জানিয়ে দেন, দ্রুত বিশ্বভারতী খুলতে হবে। মঙ্গলবারের শুনানিতে ভার্চুয়ালি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি।
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা স্পষ্ট করে বলে দেন, পরীক্ষা যেন সঠিকভাবে ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। দুটি গেটে পুলিশ থাকবে, যাঁরা দেখবেন বহিরাগতরা যেন ভিতরে না ঢুকতে পারে। বিচারপতি আরও জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ও সূচি অনুযায়ী ঘর বরাদ্দ করতে হবে।
কিন্তু বুধবার সকালেও বিশ্বভারতীতে সেরকম কোনও তোড়জোড়ই লক্ষ্য করা যায়নি। বুধবার বেলা দশটা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা যায়নি প্রধান কার্যালয়ের গেট খুলতে। বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, পরীক্ষার দিনগুলিতে হস্টেল খোলা রাখতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এক্ষেত্রে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সাহায্য করবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কি আদৌ সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে আবারও ছাত্র বিক্ষোভের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বিশ্বভারতীতে। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতী। করোনা পরিস্থিতির পর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুললেও কেন বিশ্বভারতীর হস্টেল খোলা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়ারা। স্মারকলিপি, বিক্ষোভ, ঘেরাও- সবই হয় বিশ্বভারতীতে। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, হস্টেল খুলতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। পাশপাশি পড়ুয়াদেরও আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Jayprakash: বিক্ষুব্ধরাও শেষ মুহূর্তে জানতেন না! ‘কিছু যায় আসে না’, বলে দাবি দিলীপের