Balurghat: অবৈধভাবে মাটি কাটায় ভাঙনের মুখে বিঘার পর বিঘা জমি, কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা

Rupak Sarkar

Rupak Sarkar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Updated on: Mar 16, 2023 | 7:46 AM

Balurghat: অভিযোগ, নিজের জমির মাটি ও বালি কাটার ফলে পাশের কৃষকদের জমিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক বিঘা জমি ভেঙ্গে ঢুকে গেছে নির্মল ঘোষের ভেতরে।

Balurghat: অবৈধভাবে মাটি কাটায় ভাঙনের মুখে বিঘার পর বিঘা জমি, কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা

বালুরঘাট: শাসক দলের নেতা, কার্যত এমন প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালি ও মাটি কাটছেন এমনই অভিযোগ। অবৈধভাবে বালি ও মাটি কাটার ফলে প্রতিবেশী কৃষকদের জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে ভেঙে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত রামকৃষ্ণপুর বা শিয়ালা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়। এদিকে এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার পুলিশ, প্রশাসন ও ভূমি রাজস্ব দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে কোনও রকম ব্যবস্থায়ী নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। শাসক দলের নেতা তাঁর কারণে হয়তো প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঠিক এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত থেকে বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ ওঠা তৃণমূল নেতা নির্মল কুমার ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি রাজস্ব দিয়েই তাঁর নিজের জমিতে পুকুর খনন করেছেন। তাঁর বৈধ অনুমতিও রয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা মিথ্যে অভিযোগ করছেন। এর আগে অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু সেবারও তা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছিল। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক(ভূমি ও রাজস্ব) বিবেক কুমার। তিনি আরও বলেন যখন যখন অভিযোগ

প্রসঙ্গত, চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত রামকৃষ্ণপুর এলাকায় রয়েছে ঘাগর খাঁড়ি। ২০১৩ সালে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর উদ্যোগে ওই খাঁড়ির উপর কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হয়। এই খাঁড়ির পাশে জমি রয়েছে নির্মল কুমার ঘোষের৷ ভূমি রাজস্ব দফতরের আবেদন করে ওই জমিটি ডাঙা থেকে পুকুর করিয়ে নেন। পুকুরের অনুমতি নেওয়ার পর থেকেই খাঁড়ির পাশের সেই জমি থেকে মাটি তুলতে শুরু করেন তিনি। এক ট্রাক্টর বালি বা মাটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় ৷ অভিযোগ, নিজের জমির মাটি ও বালি কাটার ফলে পাশের কৃষকদের জমিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক বিঘা জমি ভেঙ্গে ঢুকে গেছে নির্মল ঘোষের ভেতরে। এবার বর্ষায় আরও ভাঙন বাড়তে পারে বলেই অনুমান। এমনকি ওই এলাকায় একটি রাস্তা ছিল, সেই রাস্তার মাটি ও বালি তুলে ফেলেছেন।

বিষয়টি নজরে আসতে এনিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। অভিযোগ বাধা দিতে গেলে পরে তাদেরকে মারধর করা হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। তাই এনিয়ে তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে পুলিশ সব জায়গায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ তাদের। এদিকে এ নিয়ে নতুন করে আবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

বর্তমানে যেভাবে খাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি ও বালি তোলা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে আগামী দিনে ব্রীজটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি খাঁড়ির পাশে শ্মশান রয়েছে তাও তলিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ওই এলাকায় বহু বাড়ি ঘর ভাঙনের মুখে পড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা গ্রামবাসী থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি অবিলম্বে মাটি ও বালি কাটা বন্ধ করার,পাশাপাশি তাদের যে জমি ভেঙে গেছে তা বেঁধে দেওয়া হোক।

এদিকে এনিয়ে সরব হয়েছে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার৷ তিনি জানিয়েছেন,চিঙ্গিশপুরের শিয়াকা ব্রিজের পাশে আজ থেকে নয় দীর্ঘদিন থেকে বালি ও মাটি তোলা হচ্ছে। দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে বালি তোলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনও কর্ণপাত করেনি। কারণ যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা শাসক দল তৃণমূলের নেতা। শাসক দলের হাত তাদের মাথায় থাকায় তাদের কিছু হয় না। প্রশাসন অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তা না হলে বিজেপি আগামী দিনে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla