Balurghat: বাঁচেনি পেটের সন্তান, তিন কিলোমিটার হেঁটে বাঁচিয়েছিলেন প্রসূতিকে, সেই আশাকর্মীকেই সংবর্ধনা দিল সরকার
Balurghat: গত ২৯ আগস্ট এই ঘটনাটি ঘটে তপন থানার আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকাদহে। ওই এলাকার এক প্রসূতি মহিলার প্রসব বেদনা উঠলে সরকারি মাতৃযান বা ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন স্থানীয় আশাকর্মী সুমিত্রা উরাও। কিন্তু, কেউ আসতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ।
বালুরঘাট: আশাকর্মীর প্রচেষ্টায় বেঁচেছিল প্রসূতি মায়ের জীবন। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না পেয়ে রাতের অন্ধকারে ৩ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছেছিলেন বিএসএফের কাছে। সেখানে মিলেছিল বিএসএফের অ্যাম্বুলেন্স। সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই প্রসূতি মাকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় তপন গ্রামীণ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও প্রসূতির গর্ভের সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে এক আশাকর্মীদের (Asha Worker) তৎপরতায় বাঁচে মায়ের প্রাণ। সেই আশাকর্মীকে সংবর্ধনা দিল সরকার। সংবর্ধিত করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস।
জানা গিয়েছে, গত ২৯ অগস্ট এই ঘটনাটি ঘটে তপন থানার আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকাদহে। ওই এলাকার এক প্রসূতি মহিলার প্রসব বেদনা উঠলে সরকারি মাতৃযান বা ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন স্থানীয় আশাকর্মী সুমিত্রা উরাও। যোগাযোগ করলেও কেউ আসতে রাজি হয়নি বলেই অভিযোগ। সে কারণেই রাতের বেলা প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে সীমান্তবর্তী আটিলা এলাকার বিএসএফের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ওই আশাকর্মী। অবশেষে বিএসএফের অ্যাম্বুলেন্স করে মাকে ভর্তি করিয়েছিলেন তপন গ্রামীণ হাসপাতালে। অনেকটা দেরি হওয়ায় সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সন্তানকে বাঁচাতে না পারলেও মাকে বাচানো সম্ভব হয়েছিল আশাকর্মী সুমিত্রা উরাওয়ের প্রচেষ্টায়। তাই তার এই প্রচেষ্টার জন্য তপনের আউটিনা এলাকার আশাকর্মী সুমিত্রা উরাওকে দেওয়া হল সংবর্ধনা। সোমবার বিকালে বালুরঘাটে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস আশাকর্মী সুমিত্রাকে সংবর্ধিত করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও৷
এ বিষয়ে আশাকর্মী সুমিত্রা উরাও বলেন, ওই দিন রাতে অনেক চেষ্টা করে মাতৃযান বা নিশ্চয়ই যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু, কেউ আসতে রাজি হয়নি। তাই রাতের বেলা হেঁটে বিএসএফের কাছে যাই। ওদের অ্যাম্বুলেন্স করেই প্রসূতি মাকে হাসপাতালে আনি। তবে বাচ্চাটিকে বাচানো সম্ভব হয়নি। সঠিক সময়ে মাতৃযান বা ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পেলে বাচ্চাটিকেও বাঁচাতে পারতাম।
অন্যদিকে এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, ওই আশাকর্মীর জন্য আর এক মায়ের প্রান বেঁচেছে। সন্তানকে বাচানো সম্ভব হয়নি। তবে বিএসএফের কাছে পৌঁছে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না করলে আরও বড় কোনও বিপদ হতে পারত। তাই ওই আশাকর্মীর প্রচেষ্টাকে আজ সম্মান জানানো হল। পাশাপাশি কেন মাতৃযান বা নিশ্চয়ই যান যায়নি সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।