North Bengal University: লাগাতার আন্দোলন জেরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ থেকে পিছু হঠল সরকার
North Bengal university: দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে সামিল পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সকলে। তাঁদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ একর জমি যাতে বেসরকারি কোনও সংস্থার হাতে তুলে না দেওয়া হয়।
শিলিগুড়ি: জমি বিতর্কে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তাল ছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (North Bengal University)।বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাচ্ছে। সক্রিয় রয়েছে একটি চক্র। এই অভিযোগ উঠতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু অধ্যাপকরা। এবার সেই বিতর্কেরই অবসান। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠকে গিয়ে জানান যে পাঁচ একর জমি নেওয়া হচ্ছে না।
আজ শিলিগুড়ি পৌঁছন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানিয়েছেন যে এই পাঁচ একর জমি নেওয়া হচ্ছে না। জমি অন্যত্র নেওয়া হবে। যে প্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে তোলার কথা ছিল তা অন্যত্র গড়ে তোলা হবে। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাহলে কি আন্দোলনের চাপে সরকার জমি ফিরিয়ে দিল? উত্তরে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এর সঙ্গে এই আন্দোলনের সম্পর্ক নেই। এ দিন ব্রাত্য বলেন, “উত্তরবঙ্গের জমি নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটন দফতর অন্য কোথাও জমি নেবে। সরকার খতিয়ে দেখছে অন্য কোথায় এই প্রজেক্টটি তৈরি করা যেতে পারে।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে সামিল পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সকলে। তাঁদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ একর জমি যাতে বেসরকারি কোনও সংস্থার হাতে তুলে না দেওয়া হয়। এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন হয়েছে। সেই সময় সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল জানিয়েছিল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবেই।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পৌঁছনোর আগেই আন্দোলনকারীরা ভিড় জমান। জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চলে স্লোগান। পাল্টা জমায়েত করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। মাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি এক পড়ুয়াকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। তবুও আন্দোলনে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা জানিয়ে দেন কোনও পরিস্থিতেই জমি নেওয়া যাবে না। তাঁরা বিষয়টি ব্রাত্য বসুকে লিখিতভাবে জানাবেন। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য। আর তারপর সাফ জানান যে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না।
এই বিষয়ে বিক্ষোভকারী এক অধ্যাপক বলেন, “সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে ঠিকই। তবে এখনই আমরা জয়-পরাজয় দেখছি না। এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে যতক্ষণ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন করব।”আরও এক আন্দোলনকারী বলেন, “অবশ্যই খুশি।তবে এটা মুখের কথা। ব্রাত্য বসু মন্ত্রী, তাঁর প্রভাব অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বশাসিত সেই সিদ্ধান্ত উপাচার্যকেই নিতে হবে। তাই যা সই-স্বাক্ষর হয়েছে সেইটাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।”