Bomb Panic: লাল কাপড়ে মোড়া ওটা কী? কাটিহার এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মধ্যে ছড়াল বোমাতঙ্ক!
Siliguri: ট্রেনটি শিলিগুড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
শিলিগুড়ি: কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। গৌহাটি যাওয়ার পথে উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ির কাছে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ঘটনায় প্রচুর মানুষের আহত হওয়ার খবর মেলে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক্সপ্রেসে বোমাতঙ্কের খবর। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ট্রেনে।
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার থেকে কাটিহারগামী কাটিহার এক্সপ্রেসে রবিবার দুপুর নাগাদ বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ডি৩ কোচে লাল কাপড়ে মোড়া একটি বস্তুকে ঘিরে ছড়ায় আতঙ্ক। ট্রেনের যাত্রীদেরই প্রথম নজরে আসে সেটি। এরপর জানাজানি হতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে শিলিগুড়ি জংশনে থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন।
ঘটনাস্থলে আসে বোম স্কোয়াড। তাদের তরফে বলা হয়েছে আগে ট্রেনটিকে ফাঁকা কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে তারপর পরীক্ষা করে দেখা হবে লাল কাপড়ে মোড়া বস্তুটি আসলে কী? আদৌ তার মধ্যে কোনও বোম রয়েছে কিনা! কারণ ট্রেনটি এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেহেতু স্টেশন চত্ত্বর জনবহুল তাই সেখানে পরীক্ষা করলে যদি বোমা থাকেও তা ফেটে গিয়ে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। সেই কারণে বোম স্কোয়াডের তরফে ট্রেনটিকে ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে রেলের তরফে এখনও ট্রেনটিকে সরানো হয়নি।
এদিকে, শনিবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিশপ্ত বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। শিলিগুড়িতে আনার পথে লাইনচ্যূত হয় ইঞ্জিনটি। শিলিগুড়ি জংশনে ডিজেল শেডে ঢোকার পথে লাইন থেকে বেরিয়ে যায় সেটি। ঘটনার জেরে মহানন্দা এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেলের কর্তারা ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ওই ইঞ্জিনটিতে কোনও গোলযোগ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থলে। এতদিন সেখানেই ইঞ্জিনটির ফরেন্সিক পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষা পর্ব শেষে শুক্রবার বিকেলেই ওই ইঞ্জিনটি শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময়েই শিলিগুড়ি জংশনের ডিজেল শেডের ঠিক কাছেই লাইনচ্যূত হয়ে যায় অভিশপ্ত ট্রেনের ইঞ্জিনটি। এই রুট দিয়েই মহানন্দা এক্সপ্রেস যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার জেরে ট্রেনটির যাত্রাপথ বদল করা হয়। ঘুরপথে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে যায় মহানন্দা এক্সপ্রেস।