Hindi in North Bengal University: হিন্দিতে উত্তর লিখলেই ‘বাতিল’ উত্তরপত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে চরম বিভ্রান্তিতে পড়ুয়া
Hindi in North Bengal University: উত্তরের চা বলয়ে বহু কলেজেই পড়ুয়ারা হিন্দিভাষী হওয়ায় আগেও উত্তরপত্রে হিন্দি লিখেছেন। স্বীকৃত ভাষা না হলেও এটাই রীতি বলে ধরে নেওয়া হয়।
শিলিগুড়ি : হিন্দি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। হিন্দিতে লিখলে বাতিল হয়ে যেতে পারে উত্তরপত্র। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়াল কর্তৃপক্ষের তরফে। তার জেরেই সমস্যায় পড়েছেন উত্তরবঙ্গের পড়ুয়ারা। মোট ৪৮ টি কলেজের প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া সমস্যায় পড়তে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি কলেজের ক্ষেত্রে স্বীকৃত ভাষার তালিকায় রয়েছে বাংলা, ইংরাজি ও নেপালি। ফলে এই তিন ভাষাতেই সাধারণত পরীক্ষা দেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে উত্তরের চা বলয়ে বহু কলেজেই পড়ুয়ারা হিন্দিভাষী হওয়ায় আগেও উত্তরপত্রে হিন্দি লিখেছেন। স্বীকৃত ভাষা না হলেও এটাই রীতি বলে ধরে নেওয়া হয়। সেভাবেই উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজও এতদিন ধরে করে এসেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু গোল বেধেছে এবার। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগে গত ৩০ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ৪৮ টি কলেজের মধ্যে শুধুমাত্র দুটি হিন্দি কলেজের পড়ুয়ারা হিন্দি ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। বাকি কলেজের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দিতে হবে স্বীকৃত ভাষা অর্থাৎ বাংলা, নেপালি বা ইংরাজিতেই। এর জেরেই বিপাকে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার হিন্দিভাষী পড়ুয়া।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, চালু প্রথা মেনেই তাঁরা সারা বছর হিন্দিতেই পড়াশোনা করেছেন। এখন পরীক্ষা শুরুর আগে বলা হচ্ছে ইংরেজিতে উত্তর লিখতে হবে। এর জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের আর্জি, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করুক কর্তৃপক্ষ।
অধ্যক্ষ কাউন্সিলের সদস্য তথা শিলিগুড়ি কলেজ অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, স্বীকৃত তালিকায় হিন্দি না থাকলেও সব কলেজেই বহু ছেলেমেয়ে হিন্দিতে পরীক্ষা দেয়। এটাই চালু আছে এতদিন ধরে। সারা বছর ছেলে-মেয়েরা হিন্দিতেই পড়েছে। পরীক্ষার মাত্র ২২ দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি পড়ুয়াদের অসুবিধায় ফেলবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে ভাবুক উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর নিজের কলেজেই অন্তত ৮০০ পড়ুয়া আছেন, যাঁরা হিন্দিভাষী।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে মিঠুন বৈশ্য বলেন, চালু প্রথাই বহাল রাখতে হবে। না হলে এত কম সময়ে হঠাৎ করে এ নির্দেশ চালু হলে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হবে। এটা ভেবে দেখুক কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁর আশা, পরীক্ষার্থীরা হিন্দিতে পরীক্ষা দিলেও তাঁদের কথা ভেবে নিশ্চয় উত্তরপত্র বাতিল করার মতো কড়া পদক্ষেপ করবে না কর্তৃপক্ষ।