Suicide: বিডিও অফিসের মধ্যেই নিজের পেটে নিজেই ছুরি মারলেন গ্রুপ-ডি কর্মী, শোরগোল পোলবায়
Suicide: পোলবা থানার পুুলিশ সূত্রে খবর, বিডিও অফিসের ওই কর্মীর বাড়ি দাদপুর থানার তালচিনান গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সে কারণেই আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
পোলবা: বিগত কয়েকদিন ধরেই আসছিলেন না অফিসে। বাড়িতে যে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে তার আঁচ পেয়েছিলেন সহকর্মীরা। প্রায় তিনদিন পর এদিনই আসেন অফিসে। কিন্তু, কে জানত সেখানেই গিয়ে করবেন আত্মহননের চেষ্টা। নিজের পেটে নিজেই ছুরি মেরে হুগলির পোলবায় আত্মহত্যার চেষ্টা বিডিও অফিসের কর্মীর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই কর্মীর বাড়ির সদস্যরা।
পোলবা বিডিও অফিসে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসাবে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন শঙ্কর রুই দাস (৫৫)। মূলত, ঢ্যাড়া পেটানোর কাজ করতেন। বেশ কয়েকজন সহকর্মী জানাচ্ছেন এদিন অফিসে আসার পর থেকে বেশ কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলেন শঙ্করবাবু। আচমকা দেখা যায় অফিসের মধ্যেই ছুরিকাহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। জ্ঞান নেই। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। হাতের পাশে পড়ে রয়েছে একটা ফল কাটার ছুরি।
তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে পোলবা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই হয় তাঁর প্রথামিক চিকিৎসা। কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। খবর গিয়েছে পুলিশ। খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। শোরগোল পড়ে গিয়েছে শঙ্করবাবুর বাড়ির এলাকায়।
পোলবা থানার পুুলিশ সূত্রে খবর, বিডিও অফিসের ওই কর্মীর বাড়ি দাদপুর থানার তালচিনান গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সে কারণেই আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এর পিছনে আরও অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর সহকর্মীদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।