Attack on BJP: ‘বটি দিয়ে কেটে দেয়, কেটে দেয় অবস্থা…’, মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতেই ‘আক্রান্ত’ বিজেপি
BJP: বিশ্বজিৎ মালিক নামে বিজেপির এক অঞ্চল সদস্যের দাবি, 'কয়েকজন তৃণমূলের হার্মাদ আমাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে কিল, ঘুষি, তারপর লাঠি... শেষকালে একটা বটি নিয়ে কেটে দেয়, কেটে দেয় অবস্থা।' যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, শুক্রবারের এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগই নেই।
গোঘাট: লোকসভা ভোটের মুখে চড়ছে বাংলার রাজনীতির পারদ। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। এসবের মধ্যেই এবার জনসংযোগে নেমে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি। গৃহ সম্পর্ক অভিযানে গিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাট ১ ব্লকে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। বিশ্বজিৎ মালিক নামে বিজেপির এক অঞ্চল সদস্যের দাবি, ‘কয়েকজন তৃণমূলের হার্মাদ আমাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে কিল, ঘুষি, তারপর লাঠি… শেষকালে একটা বটি নিয়ে কেটে দেয়, কেটে দেয় অবস্থা।’ যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, শুক্রবারের এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগই নেই।
জানা যাচ্ছে, এদিন দুপুরে গোঘাটের নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত কোটা এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চালাচ্ছিলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রে মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা আমজনতার কাছে তুলে ধরছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময়েই স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উপর চড়াও এবং বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের। বিজেপির দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে, প্রত্যেকেই তৃণমূলের আশ্রিত।
এদিনের ঘটনায় গোঘাট থানায় নালিশও জানিয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রাজু রানার বক্তব্য, ‘তৃণমূলের কিছু গুন্ডা, দৃষ্কৃতী সদলবলে আমাদের বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে। তিন-চার জন দলীয় কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ যদি তাদের গ্রেফতার না করে, তাহলে গোঘাটের রাস্তায় আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের গোঘাট ১ ব্লক সভাপতি সঞ্জিত পাখিরা। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি যখন প্রচার করছিল, তখন গ্রামের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেয়নি, কেন মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা, দাবি তৃণমূল নেতার। তাঁর দাবি, ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকার অঞ্চল সভাপতি এলাকাবাসীকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সঞ্জিতবাবুর ব্যাখ্যা, ‘এখানে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। গ্রামবাসীরাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’