H.S Examination: হার না মানা জেদ, হাড় ভাঙার যন্ত্রণাকে হেলায় উড়িয়ে নার্সিংহোমের বেডে শুয়েই উচ্চমাধ্যমিক মাম্পির

Hooghly: মাম্পির উরুর হারে বড় একটি প্লেট বসানো হয়। বুধবারই অপারেশন হয় মাম্পির। কিন্তু মাত্র একদিন আগে অপারেশন হলেও নিজের মনের জোর ছাড়েনি মাম্পি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল, পরীক্ষা তাঁকে দিতেই হবে। তাই শুক্রবার নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়েই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন মাম্পি কুন্ডু।

H.S Examination: হার না মানা জেদ, হাড় ভাঙার যন্ত্রণাকে হেলায় উড়িয়ে নার্সিংহোমের বেডে শুয়েই উচ্চমাধ্যমিক মাম্পির
নার্সিংহোমের বেডেই উচ্চমাধ্যমিক মাম্পির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 22, 2022 | 8:31 PM

গুপ্তিপাড়া ও চন্দননগর : মাম্পি কুণ্ডু। বাড়ি গুপ্তিপাড়ার চারাবাগান এলাকায়। এইবছর উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Examination) দিচ্ছে গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এই বছর পড়ুয়ারা নিজেদের স্কুলে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছে। মাম্পিও দিচ্ছিল। বেশ কয়েকটা পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই চলছিল পরীক্ষা। কিন্তু এরপরই অঘটন। গত ১৩ এপ্রিল। সাইকেলে চেপে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাচ্ছিলেন মাম্পি। তখনই দুর্ঘটনা। উল্টোদিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে একটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা মারে মাম্পিকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন মাম্পি। এরপর স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে এক্স-রে করে দেখা যায় মাম্পির ডান পায়ের উরুর হারটি ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গিয়েছে।

এরপ আর দেরি না করে মাম্পিকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগরের এক নার্সিংহোমে। সেখানে চিকিৎসক ভাস্কর দাসের তত্ত্বাবধানে মাম্পির পায়ের অপারেশন হয়। মাম্পির উরুর হারে বড় একটি প্লেট বসানো হয়। বুধবারই অপারেশন হয় মাম্পির। কিন্তু মাত্র একদিন আগে অপারেশন হলেও নিজের মনের জোর ছাড়েনি মাম্পি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল, পরীক্ষা তাঁকে দিতেই হবে। তাই শুক্রবার নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়েই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন মাম্পি কুন্ডু। তাঁকে এই ভাবে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করতে পেরে খুশি চিকিৎসক ভাস্কর দাসও। মাম্পির এই মনের জোর আর হার না মানা জেদের প্রশংসা করেছেন তিনিও। তাঁর আশা, মাম্পি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।

চিকিৎসক মাম্পি কুণ্ডু জানিয়েছেন, “যে হাড়টি ভেঙেছিল, সেটি শরীরের সবথেকে বড় ও শক্ত হাড়। এটি ভাঙলে শরীরে তার যথেষ্টই প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মেয়েটি যে পরীক্ষা দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিল, তাতেই আমার ভাল লেগেছিল। ভাঙা হাড়, ব্যাথা আছে, এই অবস্থায় পরীক্ষা দেওয়া খুব শক্ত। তাই আমি চেষ্টা করি, যতটা তাঁকে সাহায্য করা যায়। আমি খুব খুশি যে তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। পরীক্ষা দিতে পারবে, এই মানসিক প্রস্তুতি যখন সে তৈরি করে নিতে পেরেছে, তাতে আমি ভীষণ খুশি। অন্য কেউ তার জায়গায় থাকলে হয়ত শুয়েই থাকত। কিন্তু সে শুধু শুয়ে থাকা নয়, উঠে বসছে, এমনকী পড়াশোনাও করেছে গতকাল। যথেষ্ট সহজভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে। মাঝে ওকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু ও বলল, কোনও সমস্যা হচ্ছে না।”

আরও পড়ুন :  Taratala Flyover: তারাতলা উড়ালপুলে বড়সড় ফাটল, সংস্কারের জন্য বন্ধ থাকবে বেহালামুখী লেন

আরও পড়ুন : COVID Volunteers Protest: করোনাকে হারাতে জান-কবুল লড়াই করেছেন, এখন কাজ হারিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ কোভিড স্বেচ্ছাসেবকদের