Anganwadi Centre: নেই রান্নার ঘর, ভেঙে ঝুলছে অ্যাসবেস্টস, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশায় চিন্তিত অভিভাবকরা

Anganwadi Centre: যেকোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটার আশঙ্কা। সামনের চালা ঘরের কাঠামোর অর্ধেকটা ভেঙে পড়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় বেশ কিছুটা অংশ। ঝুলে রয়েছে কাঠামো ও অ্যাসবেস্টস।

Anganwadi Centre: নেই রান্নার ঘর, ভেঙে ঝুলছে অ্যাসবেস্টস, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশায় চিন্তিত অভিভাবকরা
হুগলির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 11:59 PM

হুগলি: একরত্তি ছেলেমেয়ে। ছোট ছোট পায়ে হেঁটে, কেউ বা মায়ের কোলে চেপে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Centre) পড়তে আসে। কিন্তু, যেখানে তারা শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ পাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি শিউরে ওঠার মতো। যেকোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটার আশঙ্কা। সামনের চালা ঘরের কাঠামোর অর্ধেকটা ভেঙে পড়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় বেশ কিছুটা অংশ। ঝুলে রয়েছে কাঠামো ও অ্যাসবেস্টস। বৃষ্টির সময় গোটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ঝোড়ো হাওয়া দিলে বন্ধ রাখতে হয় পঠন পাঠন। এভাবেই চলছে খানাকুলের পূর্ব বলাইচক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা এখানেই শেষ হয়নি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খাবার তৈরির জন্য রান্নার ঘর নেই। খোলা জায়গাতেই রান্না করা হয়। নেই বাথরুম। এমনকি কোনও রান্নার কর্মীও নেই। এক দিদিমণি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালান। তিনি নিজেই এক মহিলাকে রান্নার কাজে রেখেছেন।

অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েতে বলা সত্ত্বেও কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থায় চলছে খানাকুলের পূর্ব বলাইচকের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তাই ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখানে প্রায় ৫০ জনের মত শিশু পড়াশোনা করে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরের যা অবস্থা তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই আশঙ্কায় আশঙ্কিত অভিভাবকরা। খানাকুলের পূর্ব বলাইচক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদটিও ভগ্নদশা। ভাল রান্না করার জায়গাও নেই। বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই সন্তানদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আর না পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছেন অভিভাবকরা।

তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি মেরামত করা হোক। তা না হলে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান মুখ খোলেননি।

তবে আরামবাগের এসডিও সুভাষিণী ই বলেন, “আমি খোঁজ খবর নিয়ে অতি সত্বর ব্যবস্থা নেব। যাতে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য আমি পদক্ষেপ করব।”