Ganga: তলিয়ে যাচ্ছে জমি, গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত গুপ্তিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা
Guptipara: গত পরশু থেকে এই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন ঠেকাতে ফেরিঘাটের পাশে প্রায় ১২ হাজার বালির বস্তা দিয়ে পাইলিং করা ছিল। তাও তলিয়ে গেছে গঙ্গার জলে।
গুপ্তিপাড়া: গঙ্গার ভাঙন এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মাথাব্যথার কারণ। চাষের জমি থেকে বাসের ভিটে। গঙ্গার গ্রাসে মুছে গিয়ে বিভিন্ন এলাকা। এ বার সেই সমস্যা হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া এলাকায়। গুপ্তিপাড়ার গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি।শ্মশান ঘাট, ঘাটের সিঁড়ি, ইট ভাঁটার জমি ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটের খুব কাছে দেখা দিয়েছে এই ভাঙনের সমস্যা। গুপ্তিপাড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্য মন্দির থেকে চর কৃষ্ণ বাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনালি চর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত পরশু থেকে এই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন ঠেকাতে ফেরিঘাটের পাশে প্রায় ১২ হাজার বালির বস্তা দিয়ে পাইলিং করা ছিল। তাও তলিয়ে গেছে গঙ্গার জলে।
গুপ্তিপাড়া পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আজ এলাকা পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা।গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেছেন, “প্রায় প্রতিদিনই ভাঙছে গুপ্তিপাড়ার গঙ্গার পাড়। গঙ্গার মাঝে চরা পড়েছে। জলের গতিপথ ঘুরে পাড়ে এসে ধাক্কা মারছে। আর সেই জলের তোড়ে পাড়ের মাটি ভেঙে জলে তলিয়ে যাচ্ছে।”
শ্মশান, ফেরিঘাট ভাঙনের আশঙ্কায় দিন গুনছে। ইতিমধ্যেই সেচ দফতর এবং জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগেও বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গার ভাঙন নিয়ে এর আগে কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।