Accident Death: সাইকেল চালিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল ক্লাস এইটের মেয়েটি, চোখের পলকে মাথা থেঁতলে চলে গেল দশ চাকার লরি
Howrah Accident: মৃতের নাম লক্ষ্মী তুরি (১৪)। আজ সকালে ওই ছাত্রী এনএস রোড ধরে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে লরিটি লিলুয়ার গোসালার দিক থেকে লিলুয়া ব্রিজের দিকে যাচ্ছিল
হাওড়া: সাইকেলে চালিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া বাড়ি ফিরছিল। রাস্তার পাশে ছিল গর্ত। সেই গর্ত পাশ কাটাতে গিয়ে মেয়েটিকে ধাক্কা মারে লরি। আর ঠিক তখনই ঘটে যায় অঘটন। এক লহমায় সবটা শেষ হয়ে যায়।
হাওড়ার লিলুয়ার ঘটনা। স্কুল থেকে সাইকেল চড়ে বাড়ি ফেরার পথে দশ চাকার লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু এক ছাত্রীর। শনিবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে লিলুয়ার এন এস রোড আমবাগান এলাকার হিমাদ্রি কেমিক্যাল নামে একটি কারখানার সামনে।
মৃতের নাম লক্ষ্মী তুরি (১৪)। আজ সকালে ওই ছাত্রী এনএস রোড ধরে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে লরিটি লিলুয়ার গোসালার দিক থেকে লিলুয়া ব্রিজের দিকে যাচ্ছিল। খারাপ রাস্তা হওয়ায় গর্ত বাঁচিয়ে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার ধার দিয়ে যাওয়া লক্ষ্মীকে ধাক্কা মেরে পিছনের চাকা দিয়ে পিষে দেয় লরিটি। ছাত্রীটির মাথার উপর দিয়ে চলে যায় লরির চাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এরপর তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় লিলুয়ার গোসালা সূর্যনগর এলাকায়। প্রথমে উত্তেজিত জনতা লরিটিকে থামিয়ে তাতে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় লরির চালক ও খালাসি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকী ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুবীর রাউতের বাড়ি ঘেরাও করেন। তারপর সেখানেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ তোলেন, খারাপ রাস্তার জন্যই বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে স্কুল ছাত্রীটিকে। সোমা ঘোষ নামে স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগ, গত দশ বছর ধরে এলাকায় রাস্তা মেরামত হয়নি। বড়-বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। তার উপর এইএনএস রোড ধরে নিত্যদিন বেপরোয়াভাবে লরি চলাচল করে। প্রায় দিনই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রশাসন বার-বার রাস্তা মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়নি।’
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশবাহিনী। তারা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঠান্ডা করে। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী দুর্ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই ভট্টনগরের সূর্যনগর এলাকার বাসিন্দা। সে লিলুয়ার সহায়িকা গার্লস স্কুলের ছাত্রী। নিত্যদিনের মতোই এ দিনও সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সে। ঘটনার পরই লরিটিকে পুলিশ আটক করে। এদিন দুপুর পর্যন্ত চালক ও খালাসির খোঁজ করে পুলিশ। ছাত্রীটির দাদা অজয় কুমার তুরির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লিলুয়া থানা।