Jalpaiguri Fire: রাতে সবে খাবার টেবিলে বসেছিলেন, নাকে এসেছিল গন্ধটা, কিছু বোঝার আগেই বিপদ তখন গৃহস্থের দোরগোড়ায়
Jalpaiguri Fire: বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন,সেসময় তাঁরা রাতে খেতে বসেছিলেন। বাইরে থেকে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। তখনই তাঁরা বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন।
জলপাইগুড়ি: রাতে তখন সবে খাবারের টেবিলে বসেছেন তাঁরা। পোড়া গন্ধটা নাকে এসেছিল। কিন্তু তখনও বাইরে যে বিপদ ঘটে গিয়েছে, তা টেরও পাননি বাড়ির সদস্যরা। যতক্ষণে টের পেয়েছেন লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে বাড়ির গোটা একতলা। চিৎকার চেঁচামেচিতে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশীরাও। পাড়ার পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। যতক্ষণে দমকল আসে, ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির একতলায় থাকা গোটা কাঠের গোডাউন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে।
বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, সেসময় তাঁরা রাতে খেতে বসেছিলেন। বাইরে থেকে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। তখনই তাঁরা বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন। কাঠের গোডাউনটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলে খবর দেন। তবে তার আগে নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।
উপর থেকে নামিয়ে আনা হয় বাড়ির সদস্যদের। আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। পাড়ার পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভাতে থাকেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। কীভাবে আগুন লাগল, সেটাও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। এক প্রতিবেশী বলেন, “আমরা হঠ করে দেখতে পাই আগুন লেগেছে। ছুটে আসি। কিন্তু তখনও বাড়ির লোকই জানতে পারেননি। আমরা চিৎকার করতে থাকি। ওঁদের প্রত্যেককে সাবধানে নামিয়ে আনা হয়েছে। দমকলের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে পাড়ার লোক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।” আরেক প্রতিবেশী বলেন, “দমকলকে আমরা ফোন করে দিয়েছিলাম। তবে পাড়ার লোকও সঙ্গে সঙ্গে কাজ করেছে। দোতলায় আগুন উঠে গেলে বড় বিপদ হত। সেটা আটকানো গিয়েছে।”