Jalpaiguri: ঠাকুমার মৃত্যু গৌরবের! ডিজে বাজিয়ে শ্মশানে চললেন নাতিরা
West Bengal: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকরা বাসিন্দা দিনেশ্বরী রায়। শুক্রবার রাত্রিবেলা গত হন তিনি।
জলপাইগুড়ি: তারস্বরে চলছে ব্যান্ড। দেখলে মনে হবে যেন আনন্দ অনুষ্ঠান। কিন্তু আদতে তা নয়! ব্যান্ড বাজিয়ে এক প্রকার নাচ-গান করেই বৃদ্ধার শেষ যাত্রায় সামিল হলেন তাঁর নাতি ও সন্তানরা। কিন্তু এমন ছবি কেন?
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকারা বাসিন্দা দিনেশ্বরী রায়। শুক্রবার রাত্রিবেলা গত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১০ বছর। ফলত এটি একটি রেকর্ড। মৃত্যুর পর বৃদ্ধার নাতি-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন দিনেশ্বরী দেবীর দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন। তাই তাঁর শেষ যাত্রাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। শোকের বদলে আনন্দ করে বৈতরণি পার করা হবে তাঁর।
আর যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। শনিবার সকালে তাঁরা স্থানীয় ব্যান্ড পার্টিকে খবর দেন। ব্যান্ড পার্টির লোকেরা বায়না নিয়ে নেয় ঠিকই। কিন্তু পড়ে তাঁরা ফাঁপড়ে পড়ে যান। কারণ তাঁদের অর্গান প্লেয়ারের কাছে বিয়ে সংক্রান্ত গান তোলা ছিল। কিন্তু শবযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরি নাম সংকীর্তণ জাতীয় কোনও গানের সুর তোলা ছিল না।
এরপর কিছু সময় ধরে তাঁরা প্র্যাকটিস করেন। তারপর তাঁরা শনিবার বেলার দিকে এসে যান মৃতার বাড়িতে। শুরু হয় শবযাত্রা।
এই বিষয়ে নাতি তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘আমার ঠাকুমা আমাদের মাঝে ১১০ বছর বেঁচে ছিলেন। এতদিন সাধারনত মানুষ বাঁচেন না। এটাই আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। তাই শোক করে নয়, আনন্দে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কারণে ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল।’
অপরদিকে, মৃতার ছোট ছেলে বাদল রায় জানান, ‘শ্মশান যাত্রায় সাধারণত ব্যান্ডপার্টি দেখা যায় না। যেহেতু আমাদের মা ১১০ বছর বেঁচে ছিলেন। নাতিরা সবাই মিলে এই সিদ্ধান্তে আসে যে ঠাকুমার শ্মশানযাত্রায় আমরা আনন্দ করে নিয়ে যাব। তাই এই ব্যান্ড পার্টির ব্যবস্থা।’
এ দিন এমন অভিনব দৃশ্য দেখার জন্য রাস্তায় মানুষের ভিড় দেখা যায় রাস্তায়।