Landslide: লাগাতার বৃষ্টি, ধস পাহাড়ি রাস্তায়, বিপর্যস্ত যান চলাচল

West Bengal: ইতিমধ্যে বুধবার সিকিমের ২০ মাইলে ব্যাপক ধসের কারণে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে উত্তরের পাহাড় সহ-সমতলে।পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি।

Landslide: লাগাতার বৃষ্টি, ধস পাহাড়ি রাস্তায়, বিপর্যস্ত যান চলাচল
পাহাড়ি রাস্তায় বসে গিয়েছে গাড়ি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 6:19 PM

দার্জিলিং: গরমের দাপটে জেরবার যখন দক্ষিণবঙ্গ। তখনই একটানা বৃষ্টি চলেছে উত্তরবঙ্গে। কখনও ঝিরিঝিরি আবার কখনও ভারী বৃষ্টি। তার মধ্যে আবার আবহাওয়া দফতর সূত্রে সর্তকতা জারি করা হয়েছে ভারী বৃষ্টির। ১৪ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। যার ফলে রীতিমতো চিন্তিত নদীর পাশ্ববর্তী ও পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। কারণ বৃষ্টির কারণে সমতলে যেমন বন্যার সম্ভাবনা ঠিক তেমনি পাহাড়ে ধসের সম্ভাবনা থাকে।

ইতিমধ্যে বুধবার সিকিমের ২০ মাইলে ব্যাপক ধসের কারণে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতভর ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে উত্তরের পাহাড় সহ-সমতলে।পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। সিকিমের ২০ মাইল ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। সেই ধস সরিয়ে খানিকটা যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় আবার ধস নামে। ফলে এখন যান চলাচল একেবারে বন্ধ বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

অন্যদিকে, নাথুলা যাওয়ার রাস্তায় ছোটখাটো ধস রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০ মাইলের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ইতিমধ্যে ধস সারানোর কাজে নেমেছে প্রশাসন। বুধবার ভোররাত থেকে সিকিমগামী রাস্তায় যানজট চলছে। সিংথাম ও রংপোর মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ। অন্য দিকে, সিংথাম থেকে তেমি তারকু, রংপো ও রোরাথাংয়ের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

সিকিম আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় ছোট-বড় ধস রয়েছে। ২০ মাইলে সবথেকে বড় ধস নামে। আগামী পাঁচ দিন সিকিমে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিংয়ের সমতল-সহ জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তিস্তা এবং অন্যান্য নদীতে লাল সতর্কতা জারি হতে পারে।’

এ দিকে প্রতিবেশ দেশ ভুটানেও বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী পাঁচদিন ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড়ি এলাকায় যে ফের ধস নামবে এবং একইভাবে সমতলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।