‘এটাই নাকি মা-মাটি-মানুষের ৬ কোটির প্রোজেক্ট!’ ‘পথের দাবি’তে বিক্ষোভ তৃণমূলের, লুকোলেন ঠিকাদার!

TMC: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের রাস্তা নির্মাণ কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল শাসক দলই!

'এটাই নাকি মা-মাটি-মানুষের ৬ কোটির প্রোজেক্ট!' 'পথের দাবি'তে বিক্ষোভ তৃণমূলের, লুকোলেন ঠিকাদার!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 6:15 PM

মালদহ: প্রশাসনের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শাসক দলকে আক্রমণ শানায় বিরোধীরা। তবে এবার উলট পুরাণ। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের রাস্তা নির্মাণ কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল শাসক দলই! ঘটনায় জোর শোরগোল মালদহের মানিকচক এলাকায়।

সাড়ে ছয় কোটি টাকার সাত কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি থানার দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায়। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দলীয় পতাকা হাতে মিছিল করে এসে বন্ধ করে দিল সেই কাজ। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

মানিকচকের ভূতনির শঙ্করটোলা বাঁধের উপর শুরু হয়েছে পাকা রাস্তার কাজ। যে রাস্তা ভুতনি হাসপাতাল পর্যন্ত নির্মাণ হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ অর্থ প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে ৭ কিমি রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। তবে এই রাস্তার কাজে নিম্নমানের বলে অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিল দক্ষিণ চন্ডীপুর অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, নিয়ম মেনে সঠিক কাজ না হলে বন্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা নির্মাণ কাজ।

দক্ষিণ চন্ডিপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার সংস্থা বারংবার ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে বছরের পর বছর পার হয়েছে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে। তবে বর্তমানে যেভাবে রাস্তার কাজ করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। পেপার মার্বেলের কাজ সমস্তটাই মাটি দিয়ে করা হচ্ছে। নিম্নমানের সমস্ত সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এই ভাবে রাস্তা করা হলে মানুষের যে সমস্যা তাই থেকে যাবে। তাই রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মনোরঞ্জন চৌধুরী নামে এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, “অনেক অনুরোধ করার পর বিগত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এসে ৬ কিলোমিটার রাস্তার উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন খুব সুন্দর রাস্তা হবে। কিন্তু কাজ যখন শুরু হয় তখনই বাধা দিয়েছিলাম। আবার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু যে গার্ডওওয়াল সব এখনই ধসে যাচ্ছে। সাদা বালির ওপর রাস্তা হচ্ছে! রোলার নেই, জলের ব্যবস্থা নেই। যে নিম্নমানের কাজ চলছে তাতে দু’মাসের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে। মা-মাটি-মানুষের টাকা তছরুপ হচ্ছে, তাই বন্ধ করে দিয়েছি।” তাঁর আরও দাবি সুপারভাইজার ভয়ে লুকিয়ে গিয়েছে।

যদিও গোটা ঘটনা সঠিক কাজ হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের। এ নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাল্টা অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারি দেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মী বিপ্লব কুমার কণ্ডু। আরও পড়ুন: ‘গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে’, সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের ‘অলভিদা’-য় জল্পনা

Zika Band