TMC Leader: পিস্তল উঁচিয়ে টলমল পায়ে স্থানীয়দের ‘হুমকি’ তৃণমূল নেতার, পুলিশ আসতেই ঠাঁই হল শ্রীঘরে
Malda: স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভালুকা অঞ্চলের পেমাই গ্রামের একটি আম বাগানে প্রাক্তন তৃণমূলের প্রধান মিনু মুশরের স্বামী পূরণ মুশহর মদ্যপ অবস্থায় হাতে দেশি পিস্তল নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
মালদা: টলমল করছে পা, হাতে রয়েছে বন্দুক। কখনও তেড়ে যাচ্ছেন, কখনও বা হুমকি দিচ্ছেন। আর তাই দেখে প্রাণ নিঃশেষ হওয়ার জোগাড় এলাকাবাসীর। মদ্যপ অবস্থায় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতার এহেন আচরণে রীতিমত ভয়ে কাঁপছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে অবশ্য পিস্তল সমেত তার ঠাঁই হল শ্রীঘরে।
মালদার হরিশচন্দ্রপুর ভালুকার ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পূরণ মুশহর আবার ভালুকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে প্রধানের পদ হারায় মিনু মুশহর। তারই স্বামী এই পূরণ বাবু। যেদিন অনাস্থা ডেকে মিনু দেবীকে তার পদ থেকে সরানো হয়, সেইদিনও পিস্তল দেখিয়ে দলেরই কর্মীদের একাংশকে হুমকি দেয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভালুকা অঞ্চলের পেমাই গ্রামের একটি আম বাগানে প্রাক্তন তৃণমূলের প্রধান মিনু মুশরের স্বামী পূরণ মুশহর মদ্যপ অবস্থায় হাতে দেশি পিস্তল নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে পিস্তল উঁচিয়ে কখনো তেড়ে যাচ্ছিল সে, কখনো আবার কাউকে পিস্তলের নল ঠেকিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। এদিকে, প্রাক্তন প্রধানের স্বামীর হাতে এমন পিস্তল দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর যায় পুলিশে।
এলাকায় এসে উপস্থিত হয় ভালুকা ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পিস্তল সমেত প্রধানের স্বামীকে গ্রেফতার করে তারা।
গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে লাইসেন্স দেয়নি বন্দুক নিয়ে দাদাগিরি করার। কেউ যদি তৃণমূল করলাম মানে রক্ষাকবচ হয়ে গেল। তা কিন্তু হবে না। এদের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতা বলেন, “আসলে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে মানুষকে আগে থেকেই ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে জনগণ সুষ্ঠ ভোট দিতে না পারেন।”