Malda TMC fraud Case: গুনে গুনে ৭ লক্ষ টাকা! প্রাথমিকে চাকরি দেবে বলেছিলেন তৃণমূলের তৈমুর

Malda: মাস কয়েক আগে তিনি নিজের গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই বিষ্ণু হালদার ও কৃষ্ণ হালদার কাছে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে ফাঁদ পাতেন।

Malda TMC fraud Case: গুনে গুনে ৭ লক্ষ টাকা! প্রাথমিকে চাকরি দেবে বলেছিলেন তৃণমূলের তৈমুর
তৈমুর রহমান (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 5:03 PM

মালদা: প্রাথমিক শিক্ষকের পদে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মহিলা তৃণমূল কর্মী সহ এক নেতা। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে দফায়-দফায় মোট সাত লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তৈমুর রহমান নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এহেন প্রতারণার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট নেতৃত্ব। এদিকে, প্রতারণার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৈমুরের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সম্পাদক তৈমুর রহমান হরিশ্চন্দ্রপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, মাস কয়েক আগে তিনি নিজের গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই বিষ্ণু হালদার ও কৃষ্ণ হালদার কাছে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে ফাঁদ পাতেন। এরপর নিভা মহরি এবং উৎপলা পাসওয়ান নামে স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীর মাধ্যমে দফায়-দফায় হাতিয়ে নেন প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।

এদিকে, প্রতারিত দুই ভাই রাজ্যস্তরের স্প্রিন্টার। সেই সূত্রে বহুবার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি মিললেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ পর্যন্ত চাকরি পাওয়ার আশা দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তাই চাকরি পেতে পিতৃহীন দুই ভাই বিক্রি করে দেন শেষ সম্বল একটি পুকুর। তার থেকে প্রাপ্ত অর্থই তারা দুই মহিলা তৃণমূল কর্মী মারফত তৈমুর নামে ওই নেতাকে দেন।

প্রতারিতদের দাবি, একাধিক ধাপে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও চাকরি জোটেনি দুজনের কারও। ফলে তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এরপর সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই নেতা প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৈমুর রহমান। ভিত্তিহীন দাবি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে তার সাফাই।

এদিকে, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগকে কেন্দ্র করে জেলা রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেও। যদিও বিষয়টি থেকে আপাতত দূরত্বই রাখতে সচেষ্ট জেলা নেতৃত্ব। তাদের দাবি, আইন আইনের পথে চলবে। আসলে কিছু মানুষ দলের নাম ভাঙিয়ে এই ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম করছেন। যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না দলের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:Balurghat Child: ঝোপের ভিতর একরত্তির কান্না, ছুটে জঙ্গলের ভিতর ঢুকতেই মহিলার মাথায় হাত