BJP in Bongaon: দিল্লি থেকে টাকা এসেছিল, তবু ‘ব্রাত্য’ ৪১ জন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের’ তালিকা প্রকাশ বিজেপি নেতার

Post Poll Violence: তিনি লিখেছেন, "এরা বিজেপি বনগাঁ জেলার হতভাগ্য কর্মী। ভোট পরবর্তী হিংসায় সব হারিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এদের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছিল। কিন্ত এরা পাননি। এখানে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে, যে কেউ যাচাই করতে পারেন। এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত।"

BJP in Bongaon: দিল্লি থেকে টাকা এসেছিল, তবু 'ব্রাত্য' ৪১ জন, 'ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের' তালিকা প্রকাশ বিজেপি নেতার
বনগাঁর বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শোরগোল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 10:51 PM

বনগাঁ : বনগাঁ জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণ পায়নি, এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা মনস্পতি দেব। ফেসবুকে তাঁর ওই পোস্টটি রবিবারের। সেখানে তিনি ৪১ জনের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, তাঁরা ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত এবং ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এরা বিজেপি বনগাঁ জেলার হতভাগ্য কর্মী। ভোট পরবর্তী হিংসায় সব হারিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এদের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছিল। কিন্ত এরা পাননি। এখানে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে, যে কেউ যাচাই করতে পারেন। এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত।”

এই পোস্টের বিষয়ে মনস্পতি দেব বলেন, “আমি সেই সময় জেলা সভাপতি ছিলাম। তাই সবাই আমাকে বলছে৷ রাজ্য বলছে, টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। তবে এই টাকা কোথায় গেল। এর তদন্ত হওয়া দরকার।” তবে প্রাক্তন জেলা সভাপতির ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানিয়েছেন কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করবেন না । এদিকে বর্তমান জেলা বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস জানিয়েছেন, “তৎকালীন সময়ে জেলা বিজেপি সভাপতি ছিলেন মনস্পতি দেব। তখন সহ-সভাপতির নামের তালিকা তৈরি করার দায়িত্ব ছিল। নামের তালিকা তৈরি করে রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল।”

তবে কেন এই বিষয়ে আবার ফেসবুক পোস্ট করলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি, সেই প্রসঙ্গে বর্তমান সভাপতি বলেছেন, “কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না।” এই প্রসঙ্গে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “বিজেপির মধ্যে নানা দুর্নীতি চলছে। এ বিষয়ে আমরা সিবিআই এবং ইডি তদন্তের দাবি করছি। বিজেপির ভিতরে এমন নানা দুর্নীতিমূলক কাজকর্ম চলে। সেগুলিকে সিবিআই বা ইডি তদন্ত করে দেখতে পারে।”