RG Kar: ‘উনি যত টাকা দিয়ে আমায় কিনতে চাইছেন তার থেকে বেশি দেব, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন?’, মদনকে প্রশ্ন তিলোত্তমার বাবার
RG Kar: উল্লেখ্য, তিলোত্তমার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসি চান না মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টে সে কথা উল্লেখ করার পর থেকে শাসকদলের নেতাদের কম আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে না তাঁদের। একযোগে আক্রমণের ময়দানে নেমেছেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
পানিহাটি: ‘ক্ষতিপূরণ চাইছেন?’ তিলোত্তমার মা- বাবাকে পরিষ্কার করে সেটা বলতে বলেছেন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ক্ষতিপূরণ চাইলে যে সেটা দেওয়া হবে তাও বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক। এক কথায় তিলোত্তমার মা-বাবাকে বেনজির আক্রমণ করেছেন তিনি। এবার মদনের উদ্দেশ্যে তিলোত্তমার মা-বাবার বললেন, “আমি ওঁকে টাকা দেব, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিন।”
উল্লেখ্য, তিলোত্তমার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসি চান না মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টে সে কথা উল্লেখ করার পর থেকে শাসকদলের নেতাদের কম আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে না তাঁদের। একযোগে আক্রমণের ময়দানে নেমেছেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর এবার তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, “মেয়ের ক্ষতিপূরণে টাকা লাগবে? সেটা পরিষ্কার করে বলুন। এমনিতেই কয়েকশো কোটি টাকা ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে গেছে। আপনারা চাইলে এই মুহূর্তে হাজার-হাজার কোটি টাকা উঠে যাবে। সেটা যদি চান ওই টাকা দিয়ে মেয়ের নামে ভাল কাজ করবেন। তাহলে করুন।”
এ দিন, এরই পাল্টা মন্তব্য করেছেন তিলোত্তমার বাবা। তিনি বলেন, “উনি তৃণমূলের নামকরা নেতা। যত টাকা নিয়ে উনি ঢাকতে চাইছেন তার থেকে বেশি টাকা আমি দেব। আমার মেয়েকে উনি ফিরিয়ে দিক।” তিনি এও বলেছেন, “প্রথম দিন থেকে টাকা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা চলছে। ডিসি নর্থ সরকারি কর্মচারি হয়ে নিজে আসছেন টাকা দিতে। আজ উনি প্রকাশ্যে বলছেন। আজ আমি বলছি যত টাকা দিয়ে উনি দিয়ে আমায় কিনতে চান, তার থেকে বেশি টাকা আমি ওঁকে দেব। উনি আমার মেয়েকে ফেরত দিন।” উল্লেখ্য, শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক শুনানি চলাকালীন তিলোত্তমার মা-বাবাকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময়ও তাঁরা বলেছিলেন, তাঁরা ক্ষতিপূরণ চান না। এমনকী, রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে তাও ফিরিয়ে দেন তাঁরা। তবে এরই মধ্যে মদনের এই ধরনের মন্তব্য বিতর্ক বাড়িয়েছে।