Women Harassment: পিকনিকের আনন্দ ম্লান হল এক লহমায়, গাড়িতে উঠে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালালো ৬ দুষ্কৃতী
Basirhat: ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ছয় জন।
বসিরহাট: নতুন বছর শুরু হয়েছে। আনন্দে মেতেছিলেন প্রত্যেকে। কেউ গিয়েছেন এক-দু’দিনের ট্যুরে, কেউ আবার পিকনিকে। কিন্তু সেখানে গিয়েই যে মর্মান্তিক পরিণতি হবে হয়ত ভাবতেও পারেনি। পিকনিক করে টাকি থেকে ফেরার সময় গাড়ির মধ্যেই গৃধূকে গণধর্ষণ। এই ঘটনায় গ্রেফতার ছয়।
বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার বামনপুকুরে বাসন্তী হাইওয়ের (রাজ্য সড়ক ৩এ) ঘটনা। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে ব্যবসায়ীদের পঁয়ত্রিশ জনের একটি দল পিকনিক করতে টাকি পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাদের গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে আটকে যায়। সেই সময় বেশ কয়েক জন যুবক প্রথমে পিকনিকের গাড়ির চালককে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে পর্যটকদের সঙ্গে ওই যুবকদের মধ্যে বচসা গন্ডগোল ও মারধর শুরু হয়। এবার এই ঘটনায় কিছু দুষ্কৃতী লোহার রড, ভোজালি ও বাঁশ দিয়ে হামলা চালায় পর্যটকদের উপর।
সেই সময় পিকনিকের গাড়িতে থাকা এক গৃহবধূকে গাড়ির মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর তারা গাড়িটিকে ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এবার এই ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। নির্যাতিতা বধূ গণধর্ষণের হয়েছে বলে ছয় জনের বিরুদ্ধে মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন থানা এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই বধূ এদের পূর্ব পরিচিত।
ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ওই ছয় দুষ্কৃতীকে রবিবার ভোর রাতে মিনাখাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। নির্যাতিতা বধূর আত্মীয় বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও জানান তিনি।
এদিকে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বাংলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎগঞ্জ গ্রামে স্বামীর পরকীয়া জানতে পারায় ডিভোর্স চেয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু তারপর? বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মহিলার নিথর দেহ। তবে খুন নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি এখনও জানতে পারা যায়নি। প্রীতিলতা হালদার নামে বছর বত্রিশের এক মহিলা। প্রীতিলতা দেবীর স্বামী প্রলয় হালদার। তিনি বিএসএফ-এ কর্মরত। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী আরও এক গৃহবধূর বিবাহ-বহির্ভূ সম্পর্ক ছিল। এবার বেশ কয়েকবার তাঁর প্রমাণও পেয়েছিলেন প্রীতিলতা দেবী। স্বামী প্রলয় হালদারের ফোনে প্রতিবেশী মহিলার কিছু ঘনিষ্ঠ ছবিও দেখে নেন তিনি। এই নিয়েই সংসারে শুরু হয় অশান্তি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাধে ঝামেলা। অনেক সালিশি সভা হলেও আদৌ মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।
এরপর গত একবছর আগে প্রীতিলতা দেবী বসিরহাট মহকুমা আদালতে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু ডিভোর্স দিতে নারাজ স্বামী ও তার পরিবার। তবে অশান্তি কিন্তু কমেনি। পরবর্তী সময় অভিযোগ, প্রীতিলতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে। যার জেরে শেষ পরিণতি মৃত্যু।
আরও পড়ুন: Kaikhali Fire Update: বসত এলাকায় কারখানা কেন? কৈখালি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার মালিকের জামাই