Extra marital affairs: স্বামীর সঙ্গে পাশের বাড়ির মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, স্ত্রী জানতে পারায় পরিণতি ভয়ঙ্কর!
Basirhat: ওই মহিলার স্বামী বিএসএফ-এ কর্তব্যরত। প্রায় একবছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল।
বসিরহাট: মর্মান্তিক পরিণতি হল গৃহবধূর। স্বামীর পরকীয়া জানতে পারায় ডিভোর্স চেয়েছিলেন স্বামীর কাছে। কিন্তু তারপর? বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মহিলার নিথর দেহ। তবে খুন নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি এখনও জানতে পারা যায়নি।
বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বাংলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। সেখানেই থাকতেন প্রীতিলতা হালদার নামে বছর বত্রিশের এক মহিলা। প্রীতিলতা দেবীর স্বামী প্রলয় হালদার। তিনি বিএসএফ-এ কর্মরত। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী আরও এক গৃহবধূর বিবাহ-বহির্ভূ সম্পর্ক ছিল। এবার বেশ কয়েকবার তাঁর প্রমাণও পেয়েছিলেন প্রীতিলতা দেবী। স্বামী প্রলয় হালদারের ফোনে প্রতিবেশী মহিলার কিছু ঘনিষ্ঠ ছবিও দেখে নেন তিনি। এই নিয়েই সংসারে শুরু হয় অশান্তি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাধে ঝামেলা। অনেক সালিশি সভা হলেও আদৌ মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।
এরপর গত একবছর আগে প্রীতিলতা দেবী বসিরহাট মহকুমা আদালতে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু ডিভোর্স দিতে নারাজ স্বামী ও তার পরিবার। তবে অশান্তি কিন্তু কমেনি। পরবর্তী সময় অভিযোগ, প্রীতিলতার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে। যার জেরে শেষ পরিণতি মৃত্যু।
আজ শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘর থেকে ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আত্মহত্যা না খুন? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত গৃহবধূ বাবা প্রভাত পাত্র বলেন, “গত দুই বছর ধরে এই গন্ডগোল চলছে। আমার জামাইয়ের সঙ্গে এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। সেই নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পনা করে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে মেরে ফেলেছে।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। নির্দিষ্টভাবে স্বরূপনগর থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ঠিক একমাস আগে হাওড়ার বালিতেও এই রকমই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।প্রেমের টানে হাওড়ার নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের দুই গৃহবধূ পালিয়ে গিয়েছিলেন সুদূর মুম্বই। বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির হাত ধরে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন দুই জা। তবে শেষরক্ষা হল না। কারণ, মুম্বই থেকে এ রাজ্যে ফেরার পথে আসানসোল স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। খবর আগেই ছিল। তৈরি ছিল পুলিশও।নিশ্চিন্দা থানার পুলিশের হাতে আসানসোল স্টেশনে দুই গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকারকে আটক করে পুলিশ। সঙ্গে ছিল রিয়ার সাত বছরের ছেলে। ছিব দুই প্রেমিক রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর। তাদেরও জিআরপি নিশ্চিন্দা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।