Suicide: রাতে সকলের সঙ্গে খাওয়া সেরে ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন, পরে উদ্ধার মেধাবী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

North 24 Pargana: গভীর রাতে ঘরে জানলা দিয়ে তনুশ্রীর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন পরিজনেরা।

Suicide: রাতে সকলের সঙ্গে খাওয়া সেরে ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন, পরে উদ্ধার মেধাবী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
মেয়ের মৃতদেহ পুঁতে দিলেন বাবা (প্রতীকী চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 12:48 PM

হাসনাবাদ: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার কলুতলা এলাকায়। মৃতার নাম তনুশ্রী মণ্ডল। পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে টাকি হাসপাতালে (Taki Hospital) নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশের তরফে মৃতদেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কী কারণে এই রহস্যা মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতার পরিজনদেরও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সতেরোর ওই কিশোরী রামেশ্বরপুর আদর্শ ইউনিয়ন হাইস্কুলের ছাত্রী। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সোমবার রাতে একসঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করে সে। এরপর অন্যান্য দিনের মতই নিজের ঘরে ঘুমাতে যাওয়ার নাম করে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গভীর রাতে ঘরে জানলা দিয়ে তনুশ্রীর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন পরিজনেরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হাসনাবাদ থানায় (Hasnabad police Station)। পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে ওই কিশোরীকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করার পর মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এলাকাবাসীর মতে, তনুশ্রী তার পাড়ায় যথেষ্ট মেধাবী ছাত্রী হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু কী কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা? একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। প্রেমঘটিত কোনও কারণ থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে না নাকি অত্যাধিক পড়াশোনার চাপের কারণে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

এদিকে, এই ঘটনায় কিশোরীর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে বাড়ির লোকের অজান্তেই নিজের ঘরে গিয়ে এই ঘটনা ঘটল। উত্তর খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

গত পরশুদিনও আত্মহত্যার খবর সামনে আসে। জানা যায়, কালিকাপুরের বাসিন্দা রতন চৌধুরীর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছেন। এছাড়াও বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। কালিকাপুরে তাঁদের বাড়ি থাকলেও আরেকটি বাড়ি রয়েছে বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর এলাকায়। ছেলেমেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করার পরও বাবার কাছে সে জানায় নার্স হবে। খুশি হয়েছিলেন বাবা। স্বপ্ন দেখতেন মেয়ে বড় হয় হাল ধরবে সংসারের। উচ্চ মাধ্যমিকেও ভাল রেজাল্ট করে মেয়ে।

সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তার মধ্যেই রতনবাবু জানতে পারলেন নার্সিং পড়তে গেলে খরচ কেমন হবে। এদিকে তাঁর যা আর্থিক অবস্থা তা দিয়ে মেয়েকে কীভানে নার্স করবেন এ নিয়ে ভাবনায় পড়েন বাবা। মেয়ের উচ্চশিক্ষায় বাধ সেধেছে আর্থিক অনটন। সরকারি হাসপাতালে সুযোগ না পেলে বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং পড়ার খরচ তো অনেক বেশি। সেই টাকার যোগান কোথা থেকে করবেন, তা নিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন প্রৌঢ়। কোনওকিছু উপায় না খুঁজে পেয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Price Hike: মা লক্ষ্মীকে খাওয়াবে কী! কুমড়ো-বেগুন কিনতে গিয়েই তো হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত বাঙালির