TMC MLA: ‘মিটিং-মিছিল করতে ভালবাসি, তাই বীরভূমের দায়িত্বে’, বলছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক

কাজল শেখ প্রসঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের কূটনৈতিক জবাব, "কাজল আমার ভাই।"

TMC MLA: 'মিটিং-মিছিল করতে ভালবাসি, তাই বীরভূমের দায়িত্বে', বলছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 12:05 AM

আসানসোল: মিটিং-মিছিল করতে ভালোবাসেন বলেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে নরেন চক্রবর্তীকে (Naren Chakraborty)। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি জানালেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক (TMC MLA)। একইসঙ্গে বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে কাজল শেখকে ভাই বলে দাবি জানালেন তিনি।

বীরভূম জেলার দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি হালকাভাবেই নিচ্ছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ববিদা ও মলয় দাকে বীরভূমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমি পাশের জেলায় থাকি। নদী পেরোলেই আমার বিধানসভা। ফলে আমি কো-অর্ডিনেট করে দেব। আমি মিটিং-মিছিল করতে ভালোবাসি। ভালো স্লোগান দিই। তাই আমাকে রাখা হয়েছে।”

বীরভূমে তো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। কাজল শেখ আছেন। কী ভাবে মোকাবিলা করবেন? বীরভূমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত অস্বীকার করেন নরেন চক্রবর্তী। আর কাজল শেখ প্রসঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের কূটনৈতিক জবাব, “কাজল আমার ভাই।”

বিধায়কের মুখে এহেন জবাব শুনে স্বাভাবিকভাবেই এব্যাপারে আর কিছু বলার থাকে না। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে একেবারে স্পিকটি নট নরেন চক্রবর্তী। এদিন অনুব্রত প্রসঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয়, বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলই ফের জেলা সভাপতি। জেলায় আর কি কেউ ছিল না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি বিধায়ক। কার্যত প্রশ্নটি এড়িয়ে যান তিনি।

অন্যদিকে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে কী হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠস্বর শোনা যায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের গলায়। নরেন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে দেখিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। উন্নয়নকে ভরসা করে পঞ্চায়েত ভোটে জিতব।”

প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই কালীঘাটে বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে সাংগঠনিক কমিটি নতুন করে সাজান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে জেলায় বিশেষ কোর কমিটি গঠন করেন। সেখানে যেমন নতুন মুখ নিয়ে আসেন, তেমনই ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটকের সঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তীকে অতিরিক্ত বীরভূমের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি হিসাবে নতুন কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলে তিহাড় জেলে থাকলেও বকলমে অনুব্রত মণ্ডলই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি রয়েছেন।