এবার স্কুলে স্কুলে করোনা টিকাকেন্দ্র, ভিড় নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ প্রশাসনের

Vaccine: করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)  নেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে। কোথাও টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে দিন কাবার হচ্ছে। কোথাও আবার সেই টিকা নিতে গিয়ে ভিড়ে পদপিষ্ট হচ্ছেন মানুষজন।

এবার স্কুলে স্কুলে করোনা টিকাকেন্দ্র, ভিড় নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ প্রশাসনের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 11:01 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)  নেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে। কোথাও টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে দিন কাবার হচ্ছে। কোথাও আবার সেই টিকা নিতে গিয়ে ভিড়ে পদপিষ্ট হচ্ছেন মানুষজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও এই সব ঘটনার অন্যথা নয়। তাই ভিড় এড়াতে এবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শুরু হল স্কুলগুলিতেও ক্যাম্প করে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৫৩টি স্কুল চত্বরে এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য করোনা ভ্যাকসিন প্রায়োরিটি গ্রুপ বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া। স্কুলগুলিতে এ জন্য করা হয়েছে টিকাকেন্দ্র। জেলায় ৯৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে এতদিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যা আরও ৩৭টি বেড়েছে। যুক্ত  করা হল স্কুলগুলিকেও। জানা গিয়েছে, জেলায় মোট ১৬২টি ভ্যাকসিন ক্যাম্প বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

অপ্রত্যাশিত ভিড় এড়াতে আরও নজরদারি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা প্রাপকদের জন্য কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। ভ্যাকসিনও বাড়াতে হবে। রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচকে দ্বিবেদীর ভিডিও কনফারেন্সে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দেওয়ার পরই এই কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন আরও ভ্যাকসিন এর দাবি জানিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১১ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার বলেন, জেলায় শুক্রবার থেকে ১৩০টি জায়গায় ক্যাম্প করা হচ্ছে। ৫৩টি স্কুল চত্বরে ক্যাম্প করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তা আরও বাড়ানো হবে। জেলায় ৯৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার দু’ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেখানে আরও ১৬২টি বাড়ানো হচ্ছে। জেলায় সব মিলিয়ে মোট ২৫৫টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর আগে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৫৮টি, ব্লক হাসপাতালে ২১টি, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি, ৩টি মহকুমা হাসপাতালে, একটি আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি মেডিকেল কলেজে টিকাকরণ হচ্ছিল।

এবারে ১৬২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত হেড কোয়ার্টার সাব সেন্টারে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ৪৫ বছরের উর্দ্ধে এবং ১৮ বছরের উর্দ্ধে প্রায়োরিটি গ্রুপের ভ্যাকসিন দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে। ওই শিবিরগুলি প্রয়োজনে প্রাথমিক বা হাইস্কুলে করা হচ্ছে। আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুপন দিয়ে আসবেন। সপ্তাহে তিনদিন ওই শিবিরে ২০০ জন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার আরও বলেন, ভ্যাকসিনের শিবির বাড়ানো হচ্ছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসূতি মহিলাদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। টিকা নিতে গিয়ে মানুষের হয়রানি কমবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন। আরও পড়ুন: স্বীকৃতি: এবার ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন হলদিয়ার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা