Municipal election 2022: নির্দল ‘কাঁটায়’ চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির, দলের রাশ হাতে রাখতে কড়া বার্তা শীর্ষ নেতৃত্বের
Municipal Election: নির্দল প্রার্থী পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।
পশ্চিম মেদিনীপুর: কয়েকদিন আগের ঘটনা। প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসককের ঘরের আগুন নেমে এসেছে একদম রাস্তায়। যেদিন থেকে প্রার্থী তালিকা বেরিয়েছে সেদিন থেকে যেন গৃহদাহ লেগে গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরে। একাধিক অভিযোগ-অযুহাত দেখিয়ে পথে নেমেছিলেন কর্মীরা। ধীরে-ধীরে সেই আগুন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। তবে নির্দল প্রার্থীদের কোনও ভাবেই রুখতে পারছে না শাসকদল।
এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের। প্রার্থী পছন্দ হয়নি। সেই কারণে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির মা পৌর নির্বাচনে লড়ছেন নির্দল প্রার্থী হয়ে। তবে একাধিকবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বদের অনুরোধ করেছেন যাতে সেই পদ থেকে মনোনয়ন তুলে নেন তিনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা? নির্দল প্রার্থী পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে, তাই এদের সরিয়ে কীভাবে তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থীকে জয়লাভ করানো যায় এই নিয়ে বিপাকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় ৫ পৌরসভা। আর সেই ঘাটালের ক্ষীরপাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি মনোজ হালদার। মনোজের মা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলেরই অন্তরা সাহার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি মনোজ হালদারের অভিযোগ, “ওয়ার্ড থেকে প্রথমে সুনিতা হালদারের নাম ঠিক করে প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয় জেলা নেতৃত্বকে। কিন্তু যখন নাম প্রকাশ হয় সেখানে দেখা যায় নাম রয়েছে অন্তরা সাহার, যাঁকে ওয়ার্ডের কেউ চেনেন না।” এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। ওয়ার্ড সভাপতি অনুগামীরা ঠিক করেন যে ওই ওয়ার্ড সভাপতির মা সুনিতা হালদারকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবেন তারা। কিন্তু একাধিকবার দলের নেতাকর্মীরা নির্দল প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য দাবি করলেও তা প্রত্যাহার করেনি সভাপতির মা। ফলত বিপাকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
জেলা তৃণমূলের সভাপতির আশিষ হুদাইত বলেন, “জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে ভাবছে, যেহেতু তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি, তাই দুই দিনের মধ্যে তাদের হ্যান্ডবিল সহকারে ছড়িয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে বিষয়টি জানাতে হবে , তা না হলে দল তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
তবে গল্প এখানেই শেষ নয়। সুনিতা হালদারের মত অপরদিকে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মী ওসমান গনি। তিনিও দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবে মিলে দুই পৌরসভার দুটি নির্দল নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
এদিকে এই বিষয়টি আবার নজর এড়ায়নি বিরোধীদের। বিজেপি কটাক্ষ করে জানিয়েছে, এটা প্রাইভেট কোম্পানি, তাই এত গণ্ডগোল।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Municipal Election: নর্দমায় ভাসছে মমতার ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, কে করল? তুলকালাম জলপাইগুড়ি