Bank robbery: পিঠে স্কুলব্যাগ, হাতে বন্দুক নিয়ে বর্ধমানের ব্যাঙ্কে ডাকাতি! ২৪ ঘণ্টা কাটলেও অথৈজলে পুলিশ

Bardhaman: সকাল দশটা নাগাদ গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢোকে ওই ডাকাত দল।

Bank robbery: পিঠে স্কুলব্যাগ, হাতে বন্দুক নিয়ে বর্ধমানের ব্যাঙ্কে ডাকাতি! ২৪ ঘণ্টা কাটলেও অথৈজলে পুলিশ
বর্ধমানের ব্যাঙ্কে দুঃসাহসিক ডাকাতি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2022 | 5:36 PM

পূর্ব বর্ধমান: ব্যাঙ্ক ডাকাতির ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের কার্জনগেটের পাশে বৈদ্যনাথ কাটরার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে লুট হয় ৩৩ লক্ষ টাকা। তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি ডাকাতির ঘটনায় সিট গঠন করার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে জেলাজুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং। কিন্তু তারপরও অধরা রয়েছে তারা।

বর্ধমান থানার এক আধিকারিক বলেন, “দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কে লুটপাট চালিয়ে পায়ে হেঁটে তাঁরা বিসি রোড হয়ে কার্জনগেটে যায়। তারপর তারা কোন দিকে গিয়েছে বা কোন গাড়িতে করে গিয়েছে তার কোনও হদিস এখনো পর্যন্ত পুলিশের কাছে নেই। তবে পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে।”

শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই রকম দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শুক্রবার । এর আগে বর্ধমানের বি সি রোডের উপর ২০২০ সালের ১৭ জুলাই একটি স্বর্ণ ঋণ দান কারী সংস্থায় ডাকাতি হয়। ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসেই বৈদ্যনাথ কাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ৩৫ লক্ষ টাকা লুঠ হয়। সুতরাং একের পর ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন যে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এটা তার জলন্ত উদাহরণ।

কী ঘটেছিল ব্যাঙ্ক ডাকাতির দিন?

শুক্রবার সকাল দশটায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখা চালু হতেই ছয় জনের একটি দুষ্কৃতীদল ব্যাঙ্কের ভিতরে গ্রাহক সেজে ঢোকে। সেখানে ঢুকে তারা নিজমূর্তি ধারণ করে। জানা গিয়েছে, এদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে।

তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। হাতেগোনা দশ থেকে পনেরো জন গ্রাহক ব্যাঙ্কের ভিতর। দুষ্কৃতীরা ভিতরে প্রবেশ করেই গ্রাহক ও ব্যাঙ্ককর্মীদের মোবাইল ফোন প্রথমে কেড়ে নেয়। তারপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলটি লুটপাট করে চম্পট দেয়। চম্পট দেওয়ার সময় ব্যাঙ্কের গেটে তালা দিয়ে চলে যায় দুস্কৃতীরা। অথচ, একেবার ঢিল ছোড়া দূরত্বে তখন কার্জনগেটে পুলিশ কর্মীরা ট্রাফিক সামলাচ্ছে। তাদের সামনে দিয়েই দুষ্কৃতীরা টাকা লুঠ করে বেড়িয়ে যায়।

জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন বলেন, “এখনো পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। তদন্ত চলছে। ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরই শুক্রবার জেলাজুড়ে শুরু হয় নাকাচেকিং। কিন্তু তবুও দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে সমর্থ হয়নি পুলিশ।”

তবে শুক্রবারে ব্যাঙ্কে ডাকাতির পর থেকেই চরম আতঙ্কিত বৈদনাথ কাটরা, দত্ত সেন্টার ও বিসি রোডের ব্যবসায়ীরা। কাপড় ব্যবসায়ী ভরত দেবনাথ বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ডাকাতি,আমরা চরম আতঙ্কিত।”

আরও পড়ুন: Covid Guidelines : আজ থেকে লাগু নতুন কোভিড গাইডলাইন, কতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে বিদেশী যাত্রীদের?