TMC Worker Death: বাইকে করে এসে গুলি, কেতুগ্রামে ‘খুন’ তৃণমূল কর্মী

West Bengal: বৃহস্পতিবার সকালে কেতুগ্রামের আমগরিয়া বাজারে গিয়েছিলেন দুলাল শেখ। অভিযোগ, সেই সময় কেউ খুব কাজ থেকে তাঁকে গুলি করে মাথায়।

TMC Worker Death: বাইকে করে এসে গুলি, কেতুগ্রামে 'খুন' তৃণমূল কর্মী
কেতুগ্রামে খুন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2023 | 6:13 PM

কেতুগ্রাম: কেতুগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। নিহত তৃণমূল কর্মীর (TMC ) নাম দুলাল শেখ। পুরনো আক্রোশের জেরে দলেরই লোকজন তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার সকালে কেতুগ্রামের আমগরিয়া বাজারে গিয়েছিলেন দুলাল শেখ। স্থানীয় একটি চা দোকানে বসেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় কেউ খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে মাথায়। এরপরই দুষ্কৃতী এলাকা ছেড়ে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুলালবাবুর। জানা গিয়েছে, দুলাল শেখ বালির ব্যবসা করতেন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তবে সঠিক কী কারণে খুন ঘটনার তদন্তে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। “আমাদের পার্টির লোকেরাই ওকে মেরেছে। তৃণমূল করত ভাই। ঝগড়া ছিল। এর আগে ওকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। বলেছিল মার্ডার করে দেবে। আজ গুলি করে খুন করে।” মৃতের ছেলে বলেন, “আমরা বাবা বালির ব্যবসা করত। বাবা বাজার করতে গিয়েছিল। বলেছিল বাড়ি ফিরছি। তারপরই নাকি গুলি চালায়।” মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “”বাজারে গিয়েছিল। তারপর চা দোকানে বসেছিল। তখনই কেউ বাইকে চড়ে এসে গুলি করে। উনি তৃণমূল করতেন। কী কারণে খুন বলতে পারব না।”

দুলাল শেখকে খুনের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবু শেখ ও জালাল শেখ। নিহতের স্ত্রী জুম্মাতুল বিবি কেতুগ্রাম থানায় বাবু শেখ, জালাল শেখ-সহ ৪ জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল । কেতুগ্রামের নবস্তা গ্রামের বাসিন্দা বাবু শেখ ও জামাল শেখকে বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বাবু শেখকে নবস্তা গ্রামে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। জালাল শেখকে আমগোড়িয়া থেকে কয়েক কিমি দূরে কেচুনিয়ার গ্রামের মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে খুন, আর কারা যুক্ত আছে এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক জানান।

এ দিকে, তৃণমূল কর্মী খুনে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সালে হাসান নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “আমি খবর পেয়েছি। শুনেছি উনি তৃণমূল কর্মী। তবে এটা কোনও দলীয় কোন্দল নয়। পারিবারিক বিবাদ।”

আরও এক তৃণমূল নেতা মিঠুন মিঞা বলেন, “এটি খুব শান্তিপ্রিয় এলাকা। ওই ছেলেটি বাইরে থেকে এসেছিল। এটা পারিবারিক বিবাদ। উনি তৃণমূল কর্মী হতেই পারেন তবে এই খুনের সঙ্গে দলের কোনও ঝামেলার সম্পর্ক নেই। পরিবার ভুল করে বলছে।” অপরদিকে, গোষ্ঠী কোন্দলের কথা উল্লেখ করে বিজেপি নেতা গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগের নিয়মেই তৃণমূলের লোকজন বলছে বিজেপি করেছে। কিন্তু বিজেপি খুনের রাজনীতি করে না। তাই করলে এতদিন রাজ্য থেকে বিজেপি বিদায় নিত। আমরা অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাইছি।”