Kanthi: ‘ব্যাগে বোমা রয়েছে?’, প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতার ছেলেকে তৃণমূল পার্টি অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ

Left Movement: ডিএ-র দাবিতে বিধানসভা অভিযান সরকারি কর্মীদের, ২৭টি বাম সংগঠনের যৌথ অভিযানে ধুন্ধুমার।

Kanthi: ‘ব্যাগে বোমা রয়েছে?’, প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতার ছেলেকে তৃণমূল পার্টি অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 3:59 PM

কাঁথি: বন্ধুদের সঙ্গে মামার বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) যুব নেতার নাবালক ছেলে। ফেরার পথে তাঁদের পথ আটকানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের (Trinamool Worker) বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ব্যাগে বোমা আছে, অভিযোগ তুলে আটকে রাখা হল পার্টি অফিসে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুর বিধানসভা ভূপতিনগর থানা এলাকার মূলদা গ্রামে। যদিও এ ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তিন বন্ধুর সঙ্গে মামার বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপির যুব নেতা গোপাল মাইতির ছেলে। অভিযোগ, ফেরার সময় তাঁদের পথ আটকান এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। জিজ্ঞেস করা হয় হাতে থাকা ব্যাগে কী রয়েছে? নাবালকেরা জানান, মামারবাড়ি থেকে কিছু চালতা ও সব্জি নিয়ে ফিরছে। তারপরেও তৃণমূল কর্মীদের সন্দেহ দূর হয়নি। তাঁদের দাবি ব্যাগে রয়েছে বোমা।

চার নাবালকের ঘাড় ধরে মুলদা তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। পার্টি অফিসে তাদের আটকে তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সে সময় কোনওরকমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন গোপাল মাইতির ছেলের এক বন্ধু। গ্রামে ফিরে ঘটনার কথা খুলে বলেন সকলকে। অভিযোগ, প্রায় দু-ঘণ্টার কাছাকাছি তিন নাবালককে আটকে রাখা হয় পার্টি অফিসে। শেষে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় ওই পার্টি অফিস খুলে তিন বাচ্চাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা গোপাল মাইতির স্ত্রী বলেন, “ওরা চারজন ছিল। তারমধ্যে তিনজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছিল পার্টি অফিসে। একজন বাড়ি আসে। ওর কাছেই সব কথা শুনি। এরপর আমরা কিছুজন ওখানে গিয়ে ওদের ছাড়াই। অভিরাম জানা, কালীপদ, বিপীন ওদের আটকে রেখেছিল। ওর সকলেই তৃণমূল করে। আমার স্বামী বিজেপি করে সে কারণেই এই কাজ। বিজেপি করার অপরাধেই এই কাজ করেছে। আমার বাড়িতে এর আগেও তৃণমূলের লোকেরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। আমরা থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ বলে কোনও নাম না দিয়ে অভিযোগ করতে হবে। ভূপতিনগর থানায় আমরা তিনবার কাগজ জমা দিয়েছিলাম। তিনবারই অভিযোগ নেয়নি। উল্টে আমাদের ধমক দেওয়া হয়। সে কারণেই আমরা কাঁথি কোর্টে অভিযোগ জানাতে এসেছি আজ।”

ঘটনা প্রসঙ্গে গোপাল মাইতির ছেলের এক নাবালাক বন্ধু বলে, “আমরা ওর মামার বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। তখনই চারজন লোক পথ আটকায়। বলে বস্তায় কী আছে? আমরা বলি চালতা। বলছে না ওতে বোমা আছে। এরপরই আমাদের পার্টি অফিসে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। চাবিও দিয়ে দেওয়া হয়। নানা হুমকিও দেয়। দু-ঘণ্টা পর্যন্ত আমাদের আটকে রাখা হয়। তারপরই আমাদের পরিচিতরা গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।”

পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, “কোনও নাবালক বা কোন মহিলাকে সামনে রেখে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আর ভারতীয় জনতা পার্টির এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ” পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব গোবিন্দ দাস। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় কোনভাবেই বিজেপি কর্মীদের জন্য নিরাপদ নয় তাও পরিষ্কার। নাবালকদের রাজনীতি মধ্যে টানা উচিত নয়। তারা স্কুল পড়ুয়াও বটে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মানব পড়ুয়া বলেন, “এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।”