Former MLA of Nandigram: কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন, নীরবেই বিদায় নিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক
Nandigram: কিডনিতে সমস্যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধেরই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের সুপার স্পেশালিটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিকেলন ইলিয়াস। সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ নন্দীগ্রামের হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
নন্দীগ্রাম : প্রয়াত হলেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের তৎকালীন দাপুটে নেতা মহম্মদ ইলিয়াস। সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে নন্দীগ্রামের চৌরঙ্গীর বাড়ি এলাকায় শোকের ছায়া। কিডনি সংক্রান্ত রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। ২০০১ সাল এবং ২০০৬ সাল – দুই বারই নন্দীগ্রামের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। কিডনিতে সমস্যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধেরই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের সুপার স্পেশালিটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিকেলন ইলিয়াস। সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ নন্দীগ্রামের হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
উল্লেখ্য, মহম্মদ ইলিয়াসের বিধায়ক থাকাকালীনই নন্দীগ্রামের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে আন্দোলেনর বিরুদ্ধে কোনওদিনই সেভাবে প্রকাশ্যে খুব একটা সরব হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বাম রাজনীতিতে একেবারে নীচু তলার থেকে বিধানসভা পর্যন্ত উঠে এসেছিলেন ইলিয়াস। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তারপর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। রাজ্য রাজনীতিতে ইলিয়াসের মতো মানুষকে ব্যবহার করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি তৎকালীন বাম সরকার। ২০০১ সালে সিপিআইয়ের টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা ভোটে জয়ী হন। এরপর ২০০৬ সালেও জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। পর পর দুইবারের বিধায়ক তিনি নন্দীগ্রামের। তাঁর আমলেই নন্দীগ্রাম উত্তাল হয়েছিল। সেই সময় নিজের বিধানসভা এলাকায় তিনি মারও খেয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
পরবর্তী সময়ে তাঁর উপর একটি স্টিং অপারেশনও করা হয়েছিল। তাতে প্রয়াত বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। আর এর কোপ পড়েছিল তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারেও। দলের নেতৃত্ব থেকে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে বলা হয় মহম্মদ ইলিয়াসকে। ২০০৮ সালে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন তিনি। বিধানসভার তৎকালীন অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিমের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
তারপর থেকে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ককে সেভাবে সংবাদ শিরোনামে খুব একটা দেখা যায়নি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শেষটাও হল কাউকে না জানিয়েই। নীরবেই বিদায় নিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক।