AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: স্কুলের জমিই ‘বেচে দিলেন’ হেডমাস্টার! স্তম্ভিত বাকি শিক্ষকরাও

School News: পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার রামনগর ১ ব্লকের হলদিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সাদী রাজেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ঘটনা। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম অশোক কুমার মণ্ডল। তিনি পরিদর্শকের সই নকল করে ১৭ ডিসমিল জমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

School: স্কুলের জমিই 'বেচে দিলেন' হেডমাস্টার! স্তম্ভিত বাকি শিক্ষকরাও
অশোক কুমার মণ্ডল, প্রধান শিক্ষকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2024 | 11:38 AM

রামনগর (পূর্ব মেদিনীপুর): নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেই চলেছেন চাকরি প্রার্থী। হামেশাই তাঁদের আন্দোলন সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। একদিকে যেমন শিক্ষকতার চাকরির জন্য পথে একাংশ, সেই সময় রাজ্যেরই এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠছে গুরুতর অভিযোগ। যার জেরে স্তম্ভিত অভিভাবক থেকে শুরু করে বাকি শিক্ষকরাও। অভিযোগ, স্কুল পরিদর্শকের সই করে স্কুলেরই জমি বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মুখ খোলেননি তিনি। তবে ‘জালিয়াতির’ কথা লিখিতভাবে স্বীকার করেছেন বলে খবর।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার রামনগর ১ ব্লকের হলদিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সাদী রাজেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ঘটনা। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম অশোক কুমার মণ্ডল। তিনি পরিদর্শকের সই নকল করে ১৭ ডিসমিল জমি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা নিয়তি দাস সেই জমি কিনেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) শুভাশিস মৈত্র সহ লিখিত অভিযোগ জানান স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা। তদন্তে নেমে প্রাক্তন প্রশাসক তথা স্কুল পরিদর্শক দেখেন,জমি রেজিস্ট্রি সময় তাঁর সই নকল করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লিখিত ভাবে স্বীকারও করেছেন।

সম্প্রতি স্কুলের জমি ফেরতের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়,২৪ জুলাইয়ের মধ্যে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও সময়সীমা পেরলেও জমি ফেরত হয়নি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, বিষয়টি আলোচনা স্তরে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাজ্যের বহু স্কুলে পরিচালন সমিতি গঠিত হয়েছে। তার আগে দীর্ঘ কয়েক বছর স্কুলগুলিতে পরিদর্শকদের প্রশাসক এবং প্রধান শিক্ষককে পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পর্বেই বহু স্কুলে নানা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসে। অভিভাবক তথা এলাকাবাসী সুশীল সামন্ত বলেন, “এটা সত্যি ঘটনা। আমি একসময় এই স্কুলে পড়তাম। কয়েকদিন আগে স্যরের সঙ্গে দেখা করি। অনেকবার উনি কথা দিয়েছেন জায়গা ফেরত দেবেন। কিন্তু কিছুই করেননি।”

স্কুল ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, “স্কুলের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা তথ্য প্রমাণ দিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। এখন দেখা যাক সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মণ্ডল বলেন, “এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তাই আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। অভিযোগ এখন আলোচনা স্তরে আছে। অভিযোগ খন্ডনও হতে পারে।”

স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট শিক্ষক অসীম কুমার ঘোড়াই বলেন, “আমরাও এই ঘটনা শুনেছি। অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে। এই নিয়ে মিটিং হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”