Suvendu Adhikari: ‘এত ইগো কেন? লজ্জা থাকা উচিত পুলিশমন্ত্রীর’, হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু বলেন, "রাত দুটো থেকে গার্ডরেল এনে অসভ্যতামি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর হিসেব চুকাতে হবে। সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রয়েছে। কাল কোর্টে যাব। কাঁথি থানার আইসি, পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি, ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের নামে অভিযোগ জানাব।" 

Suvendu Adhikari: 'এত ইগো কেন? লজ্জা থাকা উচিত পুলিশমন্ত্রীর', হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা শুভেন্দুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2022 | 5:22 PM

কাঁথি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি পাঠিয়েছে কাঁথি থানার পুলিশ। সেখানে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলায় না যাওয়ার জন্য। যেহেতু হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে শুভেন্দুকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে কোথাও যেতে শুভেন্দু অধিকারীর বারণ নেই বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়েই এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাড়ির আশপাশে গার্ড রেল প্রস্তুত রাখা নিয়েই বেশ বিরক্ত শুভেন্দু বাবু। তাঁর বক্তব্য, বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছেন। নার্স দেখাশোনা করে। তার মধ্যে রাত দু’টোর সময় থেকে ‘দুম দাম’ করে গার্ড রেল নামাচ্ছে। বললেন, “লজ্জা থাকা উচিত পুলিশমন্ত্রীর। এত ইগো কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেনা চাওয়া হোক।”

উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও হাওড়া যাওয়া থেকে আটকানো হয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”রাত দু’টো -আড়াইটে থেকে এখানে গার্ড রেল নামাচ্ছে। সুকান্ত মজুমদারকে যা করেছে, ওই একই মডেল। হাওড়া গ্রামীণ শুরু হয় কোলাঘাটের পরে। আমার যেখানে যাওয়ার কথা, সেটা এখান থেকে ১০০ কিলোমিটার। তাহলে এখানে কী? ভোর থেকে এখানে কী হচ্ছে এগুলি? কলকাতাতেও বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমার প্রোগ্রাম রয়েছে। সেখানেও আমাকে যেতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই হাওড়া গ্রামীণের উপর দিয়েই যেতে হবে। আমি মুখ্যসচিবকে বললাম, আমাকে একা অনুমতি দিন। ১৪৪ ধারা মানে তো চার জনের কম। কিন্তু ওনারা তাতে রাজি নন।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেনা নামানোর দাবি জানিয়ে মমতাকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “রিজওয়ানুর রহমান মারা যাওয়ার পর একইভাবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সহ কলকাতায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তখনকার মুখ্যসচিব আধ ঘণ্টার মধ্যে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন। এত ইগোর কী আছে?”

সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আরও সংযোজন, “আমি আইন মেনে চলি। কিন্তু এই অসভ্যতামিগুলি ভারতের লোক দেখুক। ১০০ কিলোমিটার দূরে উলুবেড়িয়া। এখানে আমার মা অসুস্থ। ৭৪ বছর বয়স। নার্সের উপর নির্ভরশীল। বাবা প্রবীণ নাগরিক। ৮৫ বছরের কাছাকাছি। আর এখানে রাত দুটো থেকে গার্ডরেল এনে অসভ্যতামি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর হিসেব চুকাতে হবে। সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রয়েছে। কাল কোর্টে যাব। কাঁথি থানার আইসি, পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি, ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের নামে অভিযোগ জানাব।”