Panchayat Election 2023: মনোনয়নের শেষবেলায় বাজিমাত করবে তৃণমূল, আত্মবিশ্বাসী কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh: বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এক্ষেত্রে রাজ্য জুড়েই এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শেষ দিনে এই চিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। বলেছেন, "শেষ দিনেই তৃণমূল সমস্ত দলকে ছাড়িয়ে যাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে।"
কাঁথি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নকে ঘিরে অশান্তি ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুলেছে বিরোধীরা। এ ব্যাপারে নালিশ জানাতে বুধবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজির হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ওরা (বিরোধীরা) জানে জিতবে না। তাই দুয়েকটা জায়গায় প্রার্থীদের সামনে রেখে অশান্তি করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করছে। আমরা বারবার বলেছি, অবাধ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট চাই না। কিন্তু লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে পারছে না বিরোধীরা। তাই এত নাটক। আমাদের তো আবার উল্টো সমস্যা, এক আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর দাবিদার। সেখানে বিরোধীদের শোকসভা চলছে। প্রার্থী নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধরীরা তাঁদের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাটা প্রকাশ করুন।”
বুধবার বিকেলে কাঁথিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতিসক্রিয়তা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “বিজেপি জানে ওরা ভোটে টিকবে না। অর্ধেক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই এজেন্সি লেলিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে। এজেন্সির একটাই লক্ষ্য, নেগেটিভিটি দিয়ে তৃণমূলকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করা। নবজোয়ারকে বিঘ্নিত করা। কিন্তু এই কৌশলে বিজেপি কোনও সুবিধা করতে পারবে না।”
মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “যাঁরা তৃণমূলে টিকিট পাচ্ছেন না, সেই বিক্ষুব্ধরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা তাঁদের টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আপনাদের নেতারা ১২ বছর ধরে আপনাদের ঠকিয়েছে। এটাই শেষ সুযোগ। আসুন মনোনয়ন দিন।” পরে ব্যাখ্যা দিয়ে সৌমিত্র আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তৃণমূলকে হারানো। আর সেই লক্ষ্যে সব দলেরই বিক্ষুব্ধদের আহ্বান জানানো হয়েছে।” বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া শোরগোল। যার সমালোচনায় সরব কুণাল ঘোষ এ দিন আরও বলেছেন, “তৃণমূল একটা মানদণ্ড তৈরি করেছে। যাঁরা কাজের লোক, সততার সঙ্গে মানুষের কাজ করেন, তাঁদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের দেওয়া হবে না। এখন বিজেপি তাঁদের ডাকছে। আসলে তৃণমূলের মাপকাঠিতে যাঁরা বাতিল বলে গণ্য হবে, বিজেপি তাঁদেরই ডাকছে। এতেই বোঝা যায় বিজেপি একটা আবর্জনার জায়গা।” বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এক্ষেত্রে রাজ্য জুড়েই এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শেষ দিনে এই চিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। বলেছেন, “শেষ দিনেই তৃণমূল সমস্ত দলকে ছাড়িয়ে যাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে।”