Purulia: ‘গ্রামের সেতুই তৈরি করেননি তিনি কীভাবে উন্নয়ন করবেন?’, TMC প্রার্থীকে ঘিরে উঠল প্রশ্ন

Purulia: ২০১১ সালের পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ণ পর্ষদের বিভাগের মন্ত্রী এবারে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরই দফতর থেকে কংসাবতী নদীর ওপর একটি ব্রিজের শিল্যানাস হয়েছিল।

Purulia: 'গ্রামের সেতুই তৈরি করেননি তিনি কীভাবে উন্নয়ন করবেন?', TMC প্রার্থীকে ঘিরে উঠল প্রশ্ন
শান্তিরাম মাহাতোImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2024 | 6:14 PM

পুরুলিয়া: এবার গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। সেখানকার বাসিন্দারা নিজেরাই প্রশ্ন তুললেন গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে।

২০১১ সালের পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ণ পর্ষদের বিভাগের মন্ত্রী এবারে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরই দফতর থেকে কংসাবতী নদীর ওপর একটি ব্রিজের শিল্যানাস হয়েছিল। এই নদীর দুই পাড়ে রয়েছে পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের কাটাবেড়া গ্রাম ও আরশা ব্লকের বামুনডিহা গ্রাম। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। ১৪৭ মিটার সেতু নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘মেকইনডোজ’ নামে এক সরকারী সংস্থাকে।

দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হলেও ২০১৭ সালের অগস্ট মাস থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কথা ছিল, ২বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে। তারপর থেকে আর কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন,যিনি নিজের গ্রামের সেতু তৈরি করতে পারেননি, তিনি কী করে ৭টি বিধানসভা এলাকার উন্নয়ন করবেন? এমনকী গ্রামবাসীর মনে এও প্রশ্ন,নিজে যে দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সেই দফতরেরই কাজ করাতে পারেননি। সাংসদ হয়ে তিনি কি কোনও উন্নয়নের কাজ করতে পারবেন? এই রাস্তা দিয়েই বিভিন্ন কাজে যেতে হয়। দেবীলাল মাহাতো নামে এক বাসিন্দা বলেন, “উনি ২০১৬ সালে কংসাবতীর উপর ব্রিজের শিলান্যাস উনি করেছিলেন। উনি দুবার জিতে বিধানসভায় গিয়েছেন। কিন্তু ব্রিজের ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি।”

বস্তুত, আরশা ব্লকের প্রায় ২০-২২টি গ্রামের মানুষ এই নদী পথ ব্যবহার করেন। এলাকার কৃষকরা সাইকেল বা মোটরসাইকেলে করে তাঁদের ফসল নিয়ে যান ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন এলাকায়। এই সেতু নির্মাণ হয়ে গেলে অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ২০কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। বর্তমানে নদীতে জল কম থাকায় নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করে সাধারণ মানুষ। ফলত সেতু তৈরি না ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সকলে। এ প্রসঙ্গে শান্তিরাম মাহাতো বলেছেন, “আমি কাজ করেছিলাম। যেহেতু নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধি হিসাবে যেতে পারিনি তাই কাজের সমস্যা হয়েছে। তবে যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছিলেন তাঁরা করেননি কেন?”