Sandhya Rani Tudu: মন্ত্রিকোটার চাকরি দেন নিকট আত্মীয়দের! বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার রাজ্যের মন্ত্রীর

Govt Jobs: নিজের মন্ত্রী কোটায় একের পর এক চাকরি দিয়েছেন নিজের ছেলে সমেত নিকট আত্মীয়দের। সন্ধ্যারানি টুডুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

Sandhya Rani Tudu: মন্ত্রিকোটার চাকরি দেন নিকট আত্মীয়দের! বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার রাজ্যের মন্ত্রীর
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 9:55 AM

পুরুলিয়া: গ্রুপ-ডি হোক বা শিক্ষক। নিয়োগে দু্র্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে অভিযোগ রয়েছে ভূরি ভূরি। কোথাও স্বজনপোষণ তো কোথাও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েও আদালতের নির্দেশে অনেক শিক্ষকের চাকরিও গিয়েছে। এই আবহেই সরকারি চাকরিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাকরির জন্য বেকার যুবক যুবতীরা যখন হাহাকার করছেন তখন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু নিজের কোটার চাকরি নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিলিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি অ্যাটেন্ড্যান্ট কোটাতে নিজের ছেলে-সহ একাধিক আত্মীয়কে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। এই কোটায় এক জন মন্ত্রী বছরে তিন জনকে নিয়োগ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এবং এই তিন জনকে মন্ত্রী নিজের পছন্দ অনুসারে নিতে পারেন। এর জন্য কোনও পরীক্ষাতেও বসতে হয় না। পরে অ্যাটেন্ড্যান্টদের সরকারি চাকরি স্থায়ীও হয়। যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি মন্ত্রীর পরিবারের লোকেদের।

নিজের মন্ত্রী কোটায় একের পর এক চাকরি দিয়েছেন নিজের ছেলে সমেত নিকট আত্মীয়দের। সন্ধ্যারানি টুডুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি মন্ত্রী ‘অ্যাটেন্ড্যান্ট’ কোটায় নিজের ছেলে সহ নিকট আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছেন। তবে শুধু সন্ধ্যারানী টুডুই নয় আরও তৃণমূলের আরও অনেক মন্ত্রীই একেবারে নিজের লোকেদের এভাবে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে দাবি বিরোধীদের। অ্যাটেন্ড্যান্ট পদে একজন মন্ত্রী বা রাষ্ট্রমন্ত্রী বছরে তিনজনকে নিযুক্ত করতে পারেন। নিজের পছন্দ মতো লোককে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মন্ত্রীর। এর জন্য কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। পরে এই অ্যাটেন্ড্যান্টরা সরাসরি সরকারি চাকরিতে ঢুকে যান। পদোন্নতি পেয়ে অনেক উপরে উঠেও যান তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেছেন, “যা হয়েছে এতে নতুন কিছু নেই। মন্ত্রী দলের কারও কথা ভাবেন না সেটাই লক্ষ্যণীয়।” জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেছেন, “সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে পুরুলিয়া জেলায় পদযাত্রা করছি আমরা। একে একে মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে শাসক দলের দুর্নীতির বিষয়গুলি। এই সরকারের সব থেকে বড় দুর্নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল চাকরি দুর্নীতি। সন্ধ্যারানী টুডু একের পর এক চাকরি দিয়েছেন। সব ঠিক করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী গুরুপদ টুডু।” এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “যে কোনও মন্ত্রী নেতা এমএলএ এমপি সবার আত্মীয়-স্বজন, পাশের লোক আজকে এই সুবিধা নিয়েছে। টাকা তুলেছে। কেষ্ট মণ্ডলের মেয়ের গাড়িচালকের দুকোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। গাছ লাগিয়েও টাকা চুরি করেছে। সবে শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে এ রকম বহু তথ্য সামনে আসবে।”

যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বিরোধীদের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানাবেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ পেয়ে টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন সন্ধ্যারানি টুডুর সঙ্গে। তবে তিনি ফোন তোলেননি। মন্ত্রীর স্বামী গুরুপদ টুডু এ ব্যাপারে বলেছেন, “সব নিয়ম মেনে হয়েছে। কোনও বেনিয়ম হয়নি।”