Sonarpur: এলাকার নাকি ‘বিচারক’, বাড়ির সুইমিংপুলে ঘোরে কচ্ছপ, সোনারপুরে গজিয়ে ওঠা জামালউদ্দিনের বাড়ি না রিসর্ট ধরতেই পারবেন না!

Sonarpur: মঙ্গলবার প্রথম সোনারপুরের এই জামালউদ্দিন সর্দারের খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, শিকলে দিয়ে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না।

Sonarpur: এলাকার নাকি 'বিচারক', বাড়ির সুইমিংপুলে ঘোরে কচ্ছপ, সোনারপুরে গজিয়ে ওঠা জামালউদ্দিনের বাড়ি না রিসর্ট ধরতেই পারবেন না!
জামালউদ্দিন সর্দার ও তার বাড়িImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2024 | 12:27 PM

সোনারপুর: একটা ইয়া বড় গেট। দেখতে খানিকটা মন্দিরের আদলে ধরুন। এবার সেই গেট দিয়ে ভিতরে যেই প্রবেশ করবেন দেখতে পাবেন মাঝে ঝা চকচকে সরু রাস্তা আর দু’ধারে সবুজ গালিচা। দেখে বুঝতেই পারবে না রিসর্টে ঢুকছেন নাকি কোনও বাড়িতে। সোনারপুরে পেল্লাই সাইজের এই বাড়িটি জামালউদ্দিন সর্দারের। কিন্তু কী করেন তিনি? আয়ের উৎসই বা কী? তা যদিও কেউ জানেন না…

জামালের বাড়ির গেট

সোনারপুরে একদম রাস্তার উপরেই তৈরি হয়েছে জামালউদ্দিনের পেল্লাই সাইজের বাড়িটি। তিনতলা বাড়িটি হলুদ-নীল রঙ করা। চারদিক মোড়া কাচে। রয়েছে উঁচু পাঁচিলও। ভিতরে কিন্তু একটি বাড়ি নয়। আরও একটি বাড়ির অংশ রয়েছে। বাড়ির ভিতর ও বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। বাড়ির মধ্যে থাকা সুইমিংপুলে চড়ে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ। তবে কচ্ছপ রাখা বেআইনি হলেও জামাল সর্দার বাড়িতে কীভাবে কচ্ছপ রেখেছেন তা নিয়েও উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।

জামালের ছিল সাধের ঘোড়া! তাকে দেখাশোনা করতে ১০হাজার টাকা দিয়ে রাখা ছিল একটি লোক। নাম শাহজাহান মল্লিক। যার মাসিক বেতন ১০ হাজার। শাহাজান ছাড়া আরও ৭জন রয়েছেন যাঁরা পরিচারিকার কাজ করেন। এলাকাবাসী জামালউদ্দিনকে তৃণমূল কর্মী বলে দাগিয়ে দিলেও সোনারপুরের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র পরিষ্কার উত্তর, “ওঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। উনি কোনও প্রশাসনিক পদে নেই।”

কে এই জামাল? কী করেন তিনি?

স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই জামালের আয়ের উৎস বলতে পারেননি। তবে একাংশের দাবি, জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং জমি বিক্রি এইসব করেই নাকি পেট চলে তাঁর।

সম্পূর্ণ বাড়ি

কেন খবরে জামালউদ্দিন?

মঙ্গলবার প্রথম সোনারপুরের এই জামালউদ্দিন সর্দারের খবর প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, শিকলে দিয়ে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এলাকায় জমিজমা কেনাবেচা বা এলাকায় দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান জামাল ছাড়া হয় না। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত জামাল। বাড়িতেই বসতো সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচারে। জামালই বিচারক! যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হতো না তাদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। ভূরি-ভূরি অভিযোগের এখন তাঁকে খুঁজছে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে এতদিন কী করছিল প্রশাসন? তাহলে কি কোনও খবরই কানে যায়নি তাঁদের?