Kulpi: একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে ক্ষোভ, ক্ষোভের মুখে তিন তৃণমূল নেতা
Kulpi: পরে কুলপি থানার বিশাল বাহিনী গ্রামে ঢোকে। নেতাদের উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। পরে গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে দ্রুত বকেয়া মজুরি মেটানোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলপিতে একশো দিনের বঞ্চিত শ্রমিকরা আটকে রাখলেন তিন তৃণমূল নেতাকে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলল টানাহ্যাঁচড়া। পুলিশের উপস্থিতিতে উঠল বিক্ষোভ। দক্ষিণ ২৪ পরনার কুলপির করঞ্জলী পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে একশো দিনের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝির বিরুদ্ধে আগেই উঠেছিল। টাকা না পাওয়া শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওই নেতা। কিন্তু একশো দিনের কাজের মজুরি না পাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে সালিশিসভা করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটক থাকলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ তিন নেতা। নেতাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ ও টানাহ্যাঁচড়া।
পরে কুলপি থানার বিশাল বাহিনী গ্রামে ঢোকে। নেতাদের উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। পরে গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে দ্রুত বকেয়া মজুরি মেটানোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই গ্রামে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বেশ কিছু কাজ হয়। সেই কাজের মজুরি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। গত মাসে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেয়। সেই টাকা শাসকদল ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও প্রায় শতাধিক শ্রমিক কোন টাকা পায়নি।
তাঁদের অভিযোগ, ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝি। অনেককে আবার টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রকৃত শ্রমিকরা মজুরি পাননি। বুধবার বিকেলে বঞ্চিত শ্রমিকদের নিয়ে তৃণমূল নেতারা সালিশিসভা বসায় গ্রামে। সেই সভায় মজুরির হিসেব নিয়ে গরমিল প্রকাশ্যে আসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালিশিসভা। পরে দীর্ঘক্ষণ চলে নেতাদের আটক করে রাখল শ্রমিকরা। এই ঘটনায় এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।