South 24 Parganas: বাড়ির লোকের গালমন্দতেও ছাড়েননি নিজের পুরনো নেশা, আর তাতেই এই প্রৌঢ় আজ কোটিপতি!

South 24 Parganas: বাড়ির লোকের গালমন্দও শুনতেন বটে মাঝেমধ্যে। কিন্তু তোয়াক্কা করেননি। সেই লটারিতেই এখন কোটিপতি তিনি।

South 24 Parganas: বাড়ির লোকের গালমন্দতেও ছাড়েননি নিজের পুরনো নেশা, আর তাতেই এই প্রৌঢ় আজ কোটিপতি!
লটারি কেটে কোটিপতি! (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 9:18 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  আগে তো সারা দিনের রোজগার ফুরিয়ে যেত চাল-নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনেই। তবুও হাতখরচ বাঁচিয়ে কিনতেন লটারি। নেশা বলতে এটাই ছিল তাঁর। বাড়ির লোকের গালমন্দও শুনতেন বটে মাঝেমধ্যে। কিন্তু তোয়াক্কা করেননি। সেই লটারিতেই এখন কোটিপতি তিনি। লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার ঘরে তুললেন জয়নগর মজিলপুর পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাঁসারি পাড়ার ৬১ বছরের প্রবীর কুমার প্রামাণিক। এলাকায় বাপী মাস্টার নামে পরিচিত এই মানুষটি ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জয়নগর শ্রীকৃষ্ণ এফ পি স্কুলে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেছেন। তারপর থেকে ওই স্কুলে স্থায়ী চাকরি না পেয়ে জয়নগর কুলতলি বাস, ট্রেকার, ম্যাজিক ইউনিয়নের স্টাটার হিসাবে বর্তমানে রয়েছেন।

গত দুবছর ধরে তিনি ভাগ্য ফেরানোর নেশায় নিয়মিত লটারির টিকিট কাটতেন। গত বুধবার সন্ধা ছ’টার নাগালান্ড সরকারের ডিয়ার বাম্পার লটারির টিকিটে তিনি প্রথম পুরস্কার পেয়ে যান এক কোটি টাকা। আর এই খবর জানাজানি হতেই তাঁর বাড়িতে বুধবার রাত থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন।

বৃহস্পতিবার টিনের চালার এক চিলতে ঘরের উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এমনিতে টাকা পয়সার সমস্যা ছিল। তবু্ও ভাগ্য বদলানোর নেশায় গত দুবছর ধরে লটারির টিকিট কাটছি। মাঝে মধ্যে ছোটখাটো টাকাও পেয়েছি এই লটারিতে। কিন্তু এক সঙ্গে এত টাকা পাব বলে কোনওদিন কল্পনাও করিনি। তবে আমি এই টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অসম্পূর্ণ থাকা বাড়িটি আগে সম্পূর্ণ করব।”

এরপরই তিনি বলেন, “জয়নগর কুলতলি বাস, ট্রেকার ম্যাজিক ইউনিয়নের পরিবহন ব্যবস্থায় ও পৌরবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে ব্যবহার করার জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্স কেনার ইচ্ছে আছে।”  প্রবীর বলেন, “আমাদের গ্রামের সমস্যা অনেকই রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল হঠ্ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স পেতে সমস্যা হয়। রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। এই ধরনের ঘটনা একাধিক ঘটেছে। তাই এই টাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনতে চাই আগে। ” তাঁর পরিবার বলতে ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই ভাই ও একটি আট মাসের ভাইপো রয়েছে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই।

স্ত্রী আরতি প্রামাণিক বলেন, “এবার আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি খুব খুশী।” তিনি বলেন, “মানুষটাকে অনেক পরিশ্রম করতে দেখেছি। টাকা জোগাড় করতে দিনরাতই খাটত। কিন্তু লক্ষ্মী যে এই ভাবে ঘরে আসবে কী করে তা জানব!” তবে প্রবীরের নিরাপত্তার কথা ভেবে জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তিনি তাঁর পুরস্কারের জন্য বিবেচিত টিকিটটি লটারির দোকানে জমা করেছেন। টাকা পেলেই ধীরে ধীরে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবেন তিনি।

আরও পড়ুন: Weather Update: ফের অনুভূত হচ্ছে শিরশির ভাব! আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বিশেষ কী পরিবর্তন আবহাওয়ার?