AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sundarbans Tiger Census: দেরিতে হলেও শুরু হল সুন্দরবনের বাঘ গণনার কাজ

Sundarbans Tiger Census: প্রথম থেকেই নির্ধারিত ছিল ডিসেম্বরের ৭ তারিখ থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় থাকা জঙ্গলে ক্যামেরা বসানো হবে

Sundarbans Tiger Census: দেরিতে হলেও শুরু হল সুন্দরবনের বাঘ গণনার কাজ
সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 11:09 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকালয়ে চলে আসা সুন্দরবনের বাঘ তাড়াতে গিয়ে নাজেহাল বন দফতর। দেরিতে হলেও শুরু হল বাঘ সুমারির জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় বন বিভাগের জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কাজ।

বাঘ গণনার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কথা থাকলেও, সেই কাজ বাধা পেয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। ঘন ঘন লোকালয়ে ঢুকেছে বাঘ। আর সেই বাঘ বন্দি করতে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে বন কর্মীদের। যে কারণে ঘুম ছুটেছে বন কর্তাদেরও।

প্রথম থেকেই নির্ধারিত ছিল ডিসেম্বরের ৭ তারিখ থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় থাকা জঙ্গলে ক্যামেরা বসানো হবে। তারপর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আওতাধীন জঙ্গলে ৮ জানুয়ারি থেকে ক্যামেরা বসানো হবে। কার্যক্ষেত্রে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকায় ক্যামেরা বসানো হলেও তারপর থেকে একের পর বাঘ কুলতলি, গোসাবা এলাকায় বেরিয়ে পড়ায় সেই বাঘ খাঁচা বন্দি করতে দিনের পর দিন বাদাবনে পড়ে থাকতে হয়েছে বনকর্মীদের।

তার ফলে ৩৫ দিন পর সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় লাগানো ক্যামেরাগুলো সময় মতো খোলা যায়নি। সেই ক্যামেরা পেতে দেরি হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বন বিভাগের। তাই ৮ তারিখের বদলে ১৩ জানুয়ারি ওই এলাকায় ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভেস্তে যায় সেটিও। শেষেমেশ ১৫ তারিখ রাতে ক্যামেরা পেতেই ১৮ তারিখ ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সুন্দরবনে ১৬৮০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে শুরু হল ক্যামেরা বসানো কাজ।

রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত বন দফতরের কুলতলি বিট অফিস লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ক্যামেরা বসানোর কাজ তদারকি করেন বন বিভাগের ডিএফও মিলন কান্তি মন্ডল ও এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী। আগামী ৪ দিনের মধ্যে রায়দিঘি, মাতলা ও রামগঙ্গা রেঞ্জে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে। তবে শুধু এবার বাঘ নয় অন্যান্য যা যা জীবজন্তু আছে তাও মূল্যায়ন করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

মোট ১৬১ জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে তিনটি রেঞ্জে। এর জন্য ৮ টি গ্রুপে শতাধিক কর্মী থাকবেন। মানুষের হাঁটুর লেভেলে বসানো হবে ক্যামেরাগুলি। ক্যামেরাতে দিনের বেলা স্টিল ও ভিডিয়ো দুটোই রেকর্ডিং হবে। রাতেরবেলায় শুধুমাত্র স্টিল ছবি হবে। এবারই প্রথম সুন্দরবনে এম স্ট্রাইপ অ্যাপের ব্যবহার করা হবে।’সারা ভারতবর্ষ জুড়েই এই অ্যাপ ব্যবহার করা হয়l এই অ্যাপ ওপেন করলেই সমস্ত কিছুই নজরদারি করা যাবে। রাজ্য ও কেন্দ্রের বনদফতর ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই অ্যাপের সাহায্যে নজরদারিও করতে পারবে। তবে ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল ও এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী একটি বিশেষ বিষয় উল্লেখ করেছেন। জঙ্গলে বাঘের ঘাটতি সংক্রান্ত যে তত্ত্ব উঠে আসছিল, তা একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য জঙ্গলে বাঘের খাদ্যের কোনও অভাব নেই।

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ সালে বাঘ সুমারিতে ২৭টি বাঘ পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে ২০টি স্ত্রী বাঘ ও ৭টি পুরুষ বাঘ ছিল। ২০১৯-২০ সালে ছিল ২০টি। তবে এবার বাঘের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান বনদফতরের কর্তাদের। আগামী ৩৫ দিন ধরে ক্যামেরার নজরদারি চালানোর পর তা পাঠানো হবে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে। মূলত বাঘের ডোরাকাটা প্যাটার্ন দেখেই বাঘ চিহ্নিত করা হয়। সব পরীক্ষা করার পর বাঘের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যাবে।

আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে’ শীত, আয়ু কতদিন? পারদপতন হলেও স্বস্তি নেই, বলছে হাওয়া অফিস