লেনিনের মূর্তিতে মালা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক
লেনিনের মূর্তিতে গিয়ে মাল্যদান করলেন তিনি। একে অবশ্য সৌজন্যের রাজনীতি বলেই প্রদীপবাবু দাবি করেছেন। একই সুর বামপন্থীদের কণ্ঠেও।
পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’দিন আগে বিজেপি নেতার অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন খড়্গপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক প্রদীপ সরকার। আজ আবার লেনিনের মূর্তিতে গিয়ে মাল্যদান করলেন তিনি। একে অবশ্য সৌজন্যের রাজনীতি বলেই প্রদীপবাবু দাবি করেছেন। একই সুর বামপন্থীদের কণ্ঠেও।
খড়্গপুর শহরের সুভাষপল্লী এলাকায় ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছিল লেনিনের মূর্তিটি। সেখানে একটি পার্ক সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি লেনিনের মূর্তি প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেন খড়গপুর পুরসভার প্রশাসক তথা এলাকার বিধায়ক প্রদীপ সরকার। প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করে সেখানে বসানো হয়েছে মূর্তি। মূর্তির নিচে বেদীতে লেখা রয়েছে, কমরেড লেনিন। উদ্বোধক খড়গপুর বিধায়ক প্রদীপ সরকার। খড়্গপুর পুরসভা ও নিজের ফান্ড থেকেই টাকা দিয়েছেন প্রদীপ। ফিতা কেটে উদ্বোধনের পাশাপাশি লেলিনের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বামফ্রন্টের স্থানীয় নেতারা হাজির ছিলেন।
প্রদীপ সরকার পরে বলেন, “দু’দিন আগে এলাকার বিজেপি নেতা প্রেম চাঁদ ঝাঁ অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে সৌজন্য বিনিময় করে এসেছিলাম। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়ে এসেছি। আজ লেনিনের মূর্তি উন্মোচন করার পাশাপাশি মূর্তিতে মাল্যদান করেছি। এতে দোষের কিছু দেখছি না। অনেকদিন ধরে ভগ্ন অবস্থায় পড়েছিল। সেটি নতুন করে তৈরি করে উদ্বোধন করা হল। ৬ মাস আগে থেকে এই মূর্তি ঠিক করে বসানোর কথা ছিল।”
আরও পড়ুন: ‘লাকি’ নন্দীগ্রাম কি মমতার ‘অপশন’! কী বলছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা…
এদিকে ওই অনুষ্ঠানে হাজির থেকে সিপিএম নেতা অমল দাস বলেন, “রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছেন এলাকার বিধায়ক প্রদীপ সরকার। আদর্শ গত বিরোধ থাকতে পারে। রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, সেজন্য অভিনন্দন জানাই। একজন কমিউনিস্ট হিসেবে গর্বিত। লেলিন মানুষের কথা ভাবতেন, এলাকার বিধায়ক অন্য দলের হলেও সেই সৌজন্যতা দেখিয়েছেন।”
আপাতভাবে এতে কোনও রাজনৈতিক রং নেই ঠিকই। তবে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ঘাসফুল ও পদ্ম উভয়ের শিবিরের পক্ষ থেকেই বামপন্থীদের কিছুটা সমীহের চোখে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টা এতদিনে স্পষ্ট। বারেবারে বাম ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় শিবির।
আরও পড়ুন: দিনে এই লোক, রাতে ওই লোক, বৈশাখী বার বার লোক চেঞ্জ করে, ফের অশালীন অনুব্রত